মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে ব্রিকস দেশগুলো যদি নতুন মুদ্রা তৈরি করে তবে ১০০% শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। নতুন করে আবারও এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রুশ বার্তাসংস্থা তাস।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছেন, আমরা এই দেশগুলোর কাছ থেকে এমন একটি প্রতিশ্রুতি চাইব যে তারা ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না এবং ডলারের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনও মুদ্রাকে সমর্থন করবে না, নাহলে তারা ১০০% শুল্কের সম্মুখীন হবে, এবং মার্কিন অর্থনীতিতে বিক্রি করতে তারা ভুলে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিকস দেশগুলো যখন ডলার থেকে সরে যেতে চায়, আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। এরা অন্য কোনো দেশের কাছে সাহায্য চাইতে যেতে পারে, কিন্তু ব্রিক্স কখনও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে না।
এছাড়া, ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ১০০% শুল্ক আরোপ করবেন যদি ব্রিকস দেশগুললো নতুন মুদ্রা তৈরি করে বা ডলার ছেড়ে চলে যায়। এই ঘোষণার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মন্তব্য করেছেন, ভারত কখনোই ডলারের বিকল্প মুদ্রা গ্রহণের পক্ষে নয়।
রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বলেছেন, ব্রিক্স দেশগুলোর লক্ষ্য ডলারকে বাদ দেওয়া নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভুল নীতির কারণে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
ব্রিকস জোট ২০০৬ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত এবং চীন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১১ সালে এতে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগদান করে।
২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি, মিশর, ইরান, আরব আমিরাত এবং ইথিওপিয়া এই জোটে যোগ দিয়েছে। সৌদি আরবও ব্রিকসে যোগ দিতে আমন্ত্রণ পেয়েছে, তবে এখনও সেই প্রস্তাব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে রিয়াদ। ২০২৪ সালে ব্রিক্সের সভাপতির পদ পালন করছে রাশিয়া।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বে ডলার হলো প্রধান রিজার্ভ মুদ্রা। বলা হয়, বিশ্ববাণিজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি ডলারে লেনদেন হয়।
গত বছরের শুরুতে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা প্রশ্ন তোলেন, কেন সব দেশ ডলারে লেনদেন করবে। এর পরপর রাশিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্রিকস নিজস্ব মুদ্রা চালুর কথা ভাবছে।