ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তারা বিষয়টি গুজব দাবি করে।
এক্সে দেওয়া পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বলেছে, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু পোস্ট লক্ষ্য করেছি যেখানে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) সাম্প্রতিক একটি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশী দেশের কয়েকজন নাগরিককে আটক করেছে। এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দয়া করে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
এদিকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অনেকে পোস্ট করেন। এ নিয়ে দেশে গুঞ্জন চলছে।
প্রসঙ্গত, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত প্রধান সন্দেভাজন মূল আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে ভারতে পালাতে সহযোগিতার অভিযোগে দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মেঘালয় পুলিশ। তারা হলেন, পুর্তি ও সামী।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, হাদির হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত। ঘটনার পর ফয়সাল ও আলমগীর শেখ ঢাকা থেকে সিএনজিতে করে আমিনবাজারে যান। সেখান থেকে গাড়িতে করে কালামপুরে যান। কালামপুর থেকে আরেকটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহ সীমান্তে যান। সেখানে ফয়সাল ও আলমগীরকে গ্রহণ করে ফিলিপ স্নাল ও সঞ্জয়। তারা সীমান্তে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার করেন। পরে ফিলিপ দুজনকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে নিয়ে যান।
নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিপ ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতের তুরা নামক স্থানে নিয়ে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিক পুর্তির কাছে দুজনকে পৌঁছে দেন। পরে সামী নামের এক ব্যক্তির গাড়িতে করে সেখান থেকে পালিয়ে যান তারা।