ভারতের উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বর্ণবিদ্বেষী হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এক সদস্যের সন্তান। নিহত ২৪ বছর বয়সি ওই চাকমা যুবকের নাম অ্যাঞ্জেল চাকমা। তাকে ‘চীনা’ আখ্যা দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দেরাদুনের সেলাকুই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অ্যাঞ্জেল চাকমা মারা যান। তিনি ত্রিপুরার বাসিন্দা এবং তার বাবা বিএসএফের একজন কনস্টেবল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাঞ্জেল চাকমা দেরাদুনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন অ্যাঞ্জেল তার ছোট ভাই মাইকেল দোজের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করতে যান। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদের লক্ষ্য করে বর্ণবিদ্বেষী গালিগালাজ শুরু করে এবং ‘চীনা’ বলে অপমান করে।
অভিযোগ অনুযায়ী, অ্যাঞ্জেল শান্তভাবে জবাব দিয়ে বলেন, ‘আমরা চীনা নই, ভারতীয়। আমাদের ভারতীয় নাগরিকের প্রমাণের জন্য কি কোনো সার্টিফিকেট দেখাতে হবে?’
এরপর তর্কাতর্কির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। হামলায় তার ঘাড় ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লাগে। তিনি টানা ১৪ দিন ভেন্টিলেটরে ছিলেন। শনিবার তার মরদেহ ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় নেয়া হয়।
এ ঘটনায় বিএনএসের ধারা ১০৩(১) (হত্যা) এবং ৩(৫) (সম্মিলিত অপরাধমূলক অভিপ্রায়)-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ এরইমধ্যে মোট ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে। তাদের মধ্যে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি নেপালে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের ধারণা।
শীর্ষনিউজ