মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “গাজার জন্য একটি নতুন শাসন কাঠামো শিগগিরই কার্যকর হবে। একটি আন্তর্জাতিক বোর্ড এবং ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের একটি দল নিয়ে গঠিত হবে এই কাঠামো। তারপরে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হবে।
বছরের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে রুবিও এস ব কথা বলেন। খবর আরব নিউজের।
রুবিও বলেন, গাজার বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও টেকসই নয়। সেখানে ইসরাইল হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে, একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া গত অক্টোবরের শান্তিচুক্তির পর হামাস আবারও প্রভাব বাড়িয়েছে।
রুবিও বলেন, “আমরা প্রথম ধাপ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে জরুরি অনুভব করছি। প্রথম ধাপ হলো ‘বোর্ড অব পিস’ প্রতিষ্ঠা এবং ভূমিতে কাজ করবে এমন ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিগত কর্তৃপক্ষ গঠন। এরপর খুব দ্রুতই সেখানে স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।”
তিনি জানান, ফিলিস্তিনি প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরিতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে খুব দ্রুতই নতুন শাসন সংস্থা গঠিত হবে, যদিও নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি তিনি। রুবিওর এই বক্তব্য আসে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড আয়োজিত দোহা সম্মেলনের পর, যেখানে গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা জানান, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নভেম্বরে অনুমোদনের পর দ্রুতই গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন শুরু হতে পারে, সম্ভবত আগামী মাসেই। তবে হামাসকে কীভাবে নিরস্ত্র করা হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। আইএসএফে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে এমন দেশগুলো আশঙ্কা করছে যে হামাস তাদের সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
রুবিও জানান, কোন পক্ষ হামাস নিরস্ত্রীকরণের দায়িত্ব নেবে তা তিনি নিশ্চিত নন। তিনি স্বীকার করেন, বাহিনী পাঠাতে আগ্রহী দেশগুলো আইএসএফের নির্দিষ্ট দায়িত্ব, ভূমিকা ও অর্থায়ন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা চাইছে। রুবিও বলেন, গাজায় নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা পুনর্গঠনের অর্থায়ন নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যখন আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে সব ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তখন কে বা কোন দেশ গাজার জন্য বিলিয়ন ডলার সাহায্য প্রতিশ্রুতি দেবে? তাই তিনি বলেন, দাতারা জানতে চান কে দায়িত্বে থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত থাকবে কি না। আগ্রহ প্রকাশকারী দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে বলে জানান তিনি।
শীর্ষনিউজ