ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বিবৃতিতে হাদির হত্যাকাণ্ডকে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি শুক্রবার এ-সংক্রান্ত এক বিবৃতি দেন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বাংলাদেশে হামলা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে ‘স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দেশে যেসব ‘মব অ্যাটাক’ বা ভিড়ের হামলা ঘটছে, তা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর আঘাত। তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক পক্ষের সহিংসতায় উসকানি—বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে—এমন একটি পরিবেশ তৈরি করছে, যেখানে সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মী, এমনকি শিল্পী ও গায়ক-গায়িকাদেরও ইচ্ছাকৃতভাবে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থার মতে, এসব হামলার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। তিনি ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় আলোচনায় আসেন, যে আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন কর্তৃত্ববাদী সরকার উৎখাত হয়।
এইচআরডব্লিউ জানায়, দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের পর বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার জন্য এক কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও রাজনৈতিক সহিংসতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থতা নাগরিক পরিসরকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলছে এবং নতুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, যুব নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড ছিল একটি ভয়াবহ ঘটনা।