তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি নিয়ে এক হামলাকারী তাণ্ডব চালিয়েছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে। তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জং-তাই বলেন, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন তাইপেইয়ের প্রধান মেট্রো স্টেশনে প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তারপর অন্য একটি স্টেশনে ছুটে যায় এবং পথিমধ্যে লোকজনকে ছুরিকাঘাত করেছে। খবর বিবিসির।
চো বলেন, কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম চ্যাং ওয়েন বলে জানিয়েছেন। তিনি তাইওয়ানের নাগরিক। হামলা চালানোর পর একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে মারা যান তিনি। কি কারণে তিনি এসব ঘটনা ঘটিয়েছেন সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
তাইওয়ানে এই ধরণের হামলার ঘটনা বেশ বিরল। সেখানে সহিংস অপরাধের হার কম। শেষবারের মতো এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে অর্থাৎ এক দশকেরও বেশি সময় আগে।
শুক্রবারের হামলার ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে যে, বেসবল ক্যাপ এবং কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত রাস্তা ধরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন এবং চারদিকে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছিল। লোকজন আতঙ্কে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল।
এরপর তাকে একটি বড় ছুরি নিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। চো বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি তাইপেইয়ের প্রধান স্টেশনে মোলোটভ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এক ব্যক্তি আক্রমণকারীকে থামানোর চেষ্টা করার সময় তাকে একটি ভোঁতা একটি বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই ব্যক্তি পরে হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এরপর সন্দেহভাজন ব্যক্তি একটি ভূগর্ভস্থ শপিং সেন্টারের মধ্য দিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পালিয়ে যায়।
হামলাকারী কাছাকাছি একটি বইয়ের দোকান এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে প্রবেশ করে। কিন্তু পুলিশ তাকে ঘিরে ফেলার পর ভবন থেকে তিনি লাফিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। এই হামলার পর মেট্রো এবং রেলওয়ে স্টেশনের পাশাপাশি বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষনিউজ