ক্ষমতায় টিকে থাকতে উত্তর কোরিয়াকে যুদ্ধ করতে উসকানি দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ওই ঘটনা আদালতে প্রমাণ হওয়ার পর কিম জং উনের দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে পারে সিউল। খবর আল-জাজিরার
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং এ কথা জানিয়েছেন। পূর্বসূরি ইউন সুকের সময় সীমান্তে উসকানিমূলক কার্যক্রমের জন্য পিয়ংইয়ং-এর কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন বলে জানান প্রেসিডেন্ট মিয়ং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু উচ্চস্বরে বললে তা রাজনৈতিক বিরোধ বা ‘উত্তরপন্থী’ তকমা লাগানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এ কারণেই দ্বিধায় আছি।
গত মাসে ইউন-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, তিনি রাজনৈতিক সুবিধা লাভের লক্ষ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রচারপত্র বহনকারী ড্রোন উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রসিকিউটরদের মতে, এগুলো ছিল পরিকল্পিত উস্কানি।
লি’র মন্তব্য আসে ইউন সুক-ইওলের বিতর্কিত মার্শাল ল ঘোষণার বর্ষপূর্তিতে। যা দেশকে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দিয়েছিল। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ হয়, সংসদে জরুরি অধিবেশন ডাকতে জনতা ও আইনপ্রণেতারা ভবন ঘিরে ফেলেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট মার্শাল ল ঘোষণাকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেয়। ইউনকে পরে অভিশংসিত করে পদচ্যুত করা হয়। বর্তমানে তিনি বিদ্রোহসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারাগারে বিচার অপেক্ষায় রয়েছেন।