Image description
 

গাজার জন্য ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত করছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অনুমোদন পাওয়ার পর এই বাহিনী উপত্যকায় মোতায়েন করা হবে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) টিআরটি ওয়াল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসুদ্দিন জানান, মোতায়েনের জন্য ইন্দোনেশিয়া দুটি সম্ভাব্য পথ অনুসন্ধান করছে—একটি জাতিসংঘের অধীনে এবং অন্যটি এমন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার অধীনে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে গঠিত হবে। দ্বিতীয় বিকল্পের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সমন্বয় প্রয়োজন হবে।

 

তিনি বলেন, আরব দেশগুলো—সৌদি আরব, জর্ডান, মিসর, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত—যদি সবুজ সংকেত দেয়, ইন্দোনেশিয়া আনন্দের সঙ্গে অংশ নেবে। পাশাপাশি ইসরায়েলের অনুমতিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাবিত ২০ দফা উদ্যোগের প্রথম ধাপের অংশ। এর আওতায় গত ১০ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

 

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ জাকার্তা সফর করেছেন। এ সময় তিনি গাজা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো আলোচনা করেন। বৈঠকে দুই দেশ গাজা নিয়ে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।

জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ইউসুফ আহমেদ আল-হুনাইতির সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করব, যা গোয়েন্দা তথ্য ও হালনাগাদ পরিস্থিতি বিনিময় করবে। গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী দেশ হিসেবে জর্ডানের তথ্য আমাদের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানান, সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার এই গোয়েন্দা তথ্য প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার অংশ হিসেবে ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করবে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটিআই পিন্দাদ এবং জর্ডানের প্রতিষ্ঠান ডিপ এলিমেন্ট যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।