গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলকে আরেক বন্দির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। বুধবার (৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে মরদেহটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে হামাস। পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও বিষয়টি নিশ্চিত করে। তবে গাজায় এখনো ৬ ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ রয়ে গেছে।
মরদেহ ফেরত দেয়ার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম বিতর্কিত অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, হামাস সব মরদেহ ফেরত না দিয়ে চুক্তি ভঙ্গ করেছে। তবে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দাবি, গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ভারী যন্ত্রপাতি না পেয়ে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেরত দেয়া মরদেহটি গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলীয় শুজাইয়া এলাকায় টানা চার দিন ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়। এ এলাকায় কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে। মরদেহ উদ্ধারে মিশরের একটি বিশেষজ্ঞ দলও অংশ নেয়।
আল জাজিরার সাংবাদিক নূর ওদেহ জানিয়েছেন, ইসরায়েল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সব মরদেহ ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের প্রতিশ্রুতিগুলো- বিশেষ করে গাজায় মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবেশ বাস্তবায়ন করবে না।
এদিকে, আলাদা এক ঘটনায় ইসরায়েলি সেনারা মধ্য গাজায় দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে। দখলদার বাহিনীর দাবি, তারা যুদ্ধবিরতির নির্ধারিত ‘হলুদ সীমারেখা’ অতিক্রম করেছিল। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জ্বালানি ও কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে আরও একজন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।