জার্মানির বিরুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের চালানো গণহত্যা, দুর্ভিক্ষ ও হামলাকে না দেখার ভান করে চলার অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। বৃহস্পতিবার আঙ্কারায় জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎর্সের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এরদোগান বলেছেন, ইসরাইলের হাতে পারমাণবিক ও অন্যান্য অস্ত্র রয়েছে, যা তারা গাজায় ব্যবহার করছে এবং হুমকি দিচ্ছে। অথচ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কাছে এসব অস্ত্র নেই। তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গত কয়েক দিনে ইসরাইল আবারও গাজায় হামলা চালিয়েছে।
তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জার্মানি কি এসব দেখছে না?’ তিনি বলেন, গাজার দুর্ভিক্ষ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা তুরস্ক, জার্মানি ও অন্যান্য দেশের মানবিক দায়িত্ব।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক ও জার্মানি গাজায় যুদ্ধ বন্ধে একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্ক ও জার্মানি দুটি প্রভাবশালী দেশ, যাদের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্ব রয়েছে। আমরা যৌথভাবে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে পারি। হামাসের হাতে কোনো বোমা বা পারমাণবিক অস্ত্র নেই। কিন্তু ইসরাইলের আছে এবং তারা গতকাল তা গাজায় ব্যবহার করেছে। জার্মানি, কি এটা দেখছে না?
জার্মান রেড ক্রস ও তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংগঠনকে গাজায় গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন এরদোগান। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, জার্মান রেড ক্রস ও তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টকে গাজায় গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষ বন্ধে এখনই কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ইসরাইল গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়ে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ৪৬ জন শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি গত ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। ইসরাইলি এই হামলা গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন এরদোগান।
সূত্র: আনাদোলু