সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) সম্মেলনে এক অস্বস্তিকর ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচিকে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও জাপানের প্রধানমন্ত্রী কৌশলে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেন।
আন্তর্জাতিক ফোরামে সৌহার্দ্য প্রকাশের জন্য বিভিন্ন দেশে চুমুর প্রচলন থাকলেও, পূর্ব তিমুরের প্রধানমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিতর্কের আবহে, পূর্ব তিমুরের জন্য এই সম্মেলন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এশিয়ার অন্যতম দরিদ্র দেশ পূর্ব তিমুরকে গত রবিবার জোটের ১১তম সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৪ লাখ জনসংখ্যার এই দেশের জনগণ প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখে আসছিলেন।
আসিয়ানের সদস্যপদ লাভকে পূর্ব তিমুরের কর্তৃপক্ষ তাদের নবীন অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
আসিয়ানের সদস্য হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী জানানা গুসমাও এটিকে তার দেশের জন্য একটি 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। এতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে 'অসীম সুযোগ' তৈরি হবে। তিমুর-লেস্তের জনগণের জন্য এটি শুধু একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন নয়; বরং নতুন যাত্রার এক শক্তিশালী প্রত্যয়।"
ঐতিহাসিক অর্জনের এই মুহূর্তেই দুই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সৌজন্য বিনিময়ের একটি ঘটনা বিতর্ক সৃষ্টি করল।