
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে ক্যারিবিয়ান সাগর উপকূলে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনিজুয়েলার মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ভেনিজুয়েলার মূল আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোতে রুশ অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল মোতায়েন করা হয়েছে। ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভেনিজোলানা দে টেলেভিসিওনতে (ভিটিভি) সম্প্রচারিত এক সামরিক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, রাশিয়ার তৈরি ইগলা-এস ধরনের পাঁচ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ভেনিজুয়েলায় এখন ৮০ লাখের বেশি রিজার্ভ সেনা রয়েছে। খবর আরটির।
ভেনিজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শাভেজ দেশটির সামরিক বাহিনীকে আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে এই মিসাইল কিনেছিলেন। এখন সেই মিসাইলই হয়ে উঠেছে ভেনিজুয়েলার রক্ষাকবচ। বৃহস্পতিবার নিকোলাস মাদুরো বলেন, দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে বর্তমানে ৫ হাজার রুশ নির্মিত ইগলা-এস ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা দেশের মূল আকাশ প্রতিরক্ষা স্থাপনাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্বের যে কোনো সেনাবাহিনী জানে ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা কতটা। ভেনিজুয়েলার হাতে এর সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম নয়। ইগলা-এস মিসাইল হলো স্বল্প-পাল্লার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা মার্কিন স্ট্রেঞ্জার মিসাইলের সমতুল্য।
এগুলো ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার ও বিমান লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। রুশ অস্ত্র রপ্তানিকারক সংস্থা রোসোবোরন এক্সপোর্টের তথ্য মতে, ইগলা-এস মিসাইলের সর্বোচ্চ পাল্লা ৬,০০০ মিটার এবং এটি ৩,৫০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু আঘাত করতে সক্ষম। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ৪,৫০০ মেরিন ও নৌ সদস্য মোতায়েন করেছে। মাদক চোরাচালান দমন ও সামরিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মার্কিন বাহিনী ইতোমধ্যে ক্যারিবিয়ান উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকা ধ্বংস করেছে, যেগুলোকে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এবং মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে তিনি ভেনিজুয়েলায় সামরিক অভিযান চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।