Image description

আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রত্যেক হিন্দু বাড়িতে একটা করে ধারাল অস্ত্র রাখুন। হুগলির কুন্তীঘাটে রামচন্দ্রের মন্দিরের উদ্বোধনে গিয়ে একথা বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের হিন্দুদের কাছে তাঁর আহ্বান, আগে ছেলেকে ভালো হিন্দু তৈরি করুন। নইলে ছেলে ডাক্তার - অফিসার যাই হোক উদ্বাস্তু হলে এক পয়সা দাম থাকবে না।

এদিন কুন্তীঘাটে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘ছেলেকে ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়ার যা বানানোর বানান, কিন্তু ভালো হিন্দু বানান তার সাথে। যে নিজের ধর্মের প্রতি সমর্পিত হবে। আর বাড়িতে একটা করে ধারালো অস্ত্র রাখুন। আপনার ছেলে যদি ধর্ম - সংস্কৃতি রক্ষা করতে না পারে তাহলে ফুটে যাবে। এক পয়সা দাম থাকবে না তার। উদ্বাস্তু হয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে হবে। তাই এখনও সময় আছে। নিজেদের ধর্মরক্ষার অধিকার সবার রয়েছে। ধর্মরক্ষার স্বার্থে একত্রিত হোন। আমরা কাউকে আক্রমণ করতে যাব না। হিন্দু সমাজ কোথাও কোনও আক্রমণ করতে যায় না। কিন্তু আক্রমণ হলে আত্মরক্ষার অধিকার তো রয়েছে আমাদের।’

সুকান্তবাবুর বক্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ধরণের কথা বলা উচিত নয়। ওনার বলা উচিত, আগে সবাইকে মানুষ তৈরি করুন। তার পরে হিন্দু - মুসলিম। যারা প্রকৃত হিন্দু তারা সর্বধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাস করে। ঠাকুর রামকৃষ্ণও যত মত তত পথে বিশ্বাস করতেন। তার বার্তাই হচ্ছে বাংলার বার্তা, গোটা দেশের বার্তা।’

বিজেপির দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। আর একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি নিজের ধর্মের মানুষকে আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রস্তুত থাকার কথা বলতেই পারেন। ফিরহাদ হাকিম যখন ‘যারা ইসলামে জন্মায়নি তারা দুর্ভাগ্যের শিকার’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তখন তাঁর রামকৃষ্ণের কথা মনে পড়েনি? নিজের ধর্মের মঞ্চে উঠলে তাঁর মূর্তি বদলে যায় কেন?

সূত্র: দ্য হিন্দুস্তান টাইমস