
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলের রাতভর বিমান হামলায় একজন সিরীয় নাগরিক নিহত ও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০টি ইয়ার্ড বা গুদামঘর লক্ষ্যবস্তু করা হয়—যেখানে প্রকৌশল কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি রাখা ছিল। সংস্থাটি জানায়, হামলায় প্রায় ৩০০ যানবাহন, যার মধ্যে বুলডোজার, এক্সকাভেটরসহ ১০০টির বেশি ছোট ববক্যাট ইউটিলিটি মেশিন ছিল, সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, এসব স্থানে হিজবুল্লাহ ‘দক্ষিণ লেবাননে সন্ত্রাসী অবকাঠামো পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে’ ভারী যন্ত্রপাতি মজুত করেছিল, আর সে কারণেই বিমান হামলা চালানো হয়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আরও একবার দক্ষিণ লেবানন ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের শিকার হলো—কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ বা অজুহাত ছাড়াই।
তিনি বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরপরই এই হামলা হওয়ায় ঘটনাটির গুরুত্ব আরও বেশি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, আল-মসাইলে এলাকায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত একজন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই এলাকায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান অন্তত ১০টি অভিযান চালায়, যা মূলত বুলডোজার ও এক্সকাভেটর সংরক্ষণাগারগুলোকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, এই হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর সেই সব স্থাপনা, যেখানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে ব্যবহারের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি’ রাখা হয়েছিল।