কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রেপ্তার হলেন ৩ রোহিঙ্গা। শুক্রবার রাতে তাদের ঘোরাঘুরি করতে দেখে টিকিট পরীক্ষকদের সন্দেহ হয়। দুই নাবালিকাসহ ৩ জনকে GRP আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর, আটকরা মিয়ানমারের বাসিন্দা।
কীভাবে ওই রোহিঙ্গারা ভারতে ঢোকেন এবং কলকাতায় আসেন, কী উদ্দেশ্যে দিল্লি যাচ্ছিলেন, খতিয়ে দেখছে শিয়ালদাহ GRP। শিয়ালদহ আদালতে পাঠানো হবে তাদের এমনটাই খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক নাবালিকাদের নাম নূর ফতিমা ও শাবু পনেহার।
তাদের বয়স ১২ বছরের মধ্যে। আটক যুবকের নাম আবদুল রহমান। তারা প্রত্যেকেই মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ভুষিডম এলাকার বাসিন্দা। তবে তারা বাংলাদেশের ইডাভ্যালু আইটেম ক্যাম্পে ছিলেন।
শিয়ালদহ স্টেশনে তিন জনের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষকদের। তারা কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর না মেলায় টিকিট পরীক্ষকেরা ওই তিন জনকে শিয়ালদহ স্টেশনে থাকা আরপিএফ জওয়ানদের হাতে তুলে দেন। সেখানেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
পরে তাদের চেপে ধরতেই জানা যায়, তিন জনেই মিয়ানমারের বাসিন্দা। ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি তাদের কাছে ছিল না। সেই কারণে তিন জনকেই আটক করে শিয়ালদহ জিআরপি থানায় পাঠিয়ে দেন আরপিএফ জওয়ানেরা।
আবদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুই নাবালিকাকে কাশ্মীরে কোনও এলাকায় কাজের নাম করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গকে করিডর বানিয়েছিলেন। শিয়ালদহ জিআরপি থানার আইসি বাসুদেব মল্লিক জানিয়েছেন, আরপিএফের তরফে আটকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে। এর পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি বলেছিলেন, একদিকে যখন বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে দিল্লি, অসম, ত্রিপুরা পুলিশ তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে তাদের অনুপ্রবেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা।