দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আগামীকাল রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি। তবে, এই চুক্তি হওয়া কখনোই সহজ ছিল না। আক্ষরিক অর্থেই শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে সম্মত হয় উভয়পক্ষ।
কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি আলোচনা বেশ কয়েক মাস ধরে চলছিল। তবে বারবার আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় কোনোরকম আশা দেখতে পাচ্ছিল না কেউই। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে চলা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা যখন সামনে এলো তা-ও হয় শেষ মুহূর্তে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানির যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার ১০ মিনিট আগেও চলে নানা নাটকীয়তা।
এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, ‘আক্ষরিক অর্থেই সংবাদ সম্মেলনের ১০ মিনিট আগে পর্যন্ত আলোচনা চলছিল। শেষ মুহূর্তে সবকিছু নির্ধারিত হয়।’
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তিটি হওয়ার খুব কাছাকাছি গিয়েও তা ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। কাতারি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার জন্য মঞ্চ তৈরির সময়ও চুক্তিটি ভেঙে যাওয়া বন্ধ করার জন্য শেষ মুহূর্তে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।
বিবিসি আরও বলছে, গত ১৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তির সামগ্রিক কাঠামো মূলত গত বছরের মে মাসে হোয়াইট হাউসে এক ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তার সাথে একই রকম ছিল। এতে তিনটি পর্যায় রয়েছে- গাজায় যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মির মুক্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে প্রত্যাহার।
তবে আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আলোচনার গতিশীলতা চূড়ান্তভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং গতি পরিবর্তিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চুক্তির শর্ত অনুসারে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের স্থায়ীত্ব হবে অন্তত ৪২ দিন, তবে প্রয়োজনে এই মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।