Image description
 

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করেছিলেন। ঐতিহাসিক সেই বৈঠকের পর যুদ্ধ বন্ধের আশা করা হলেও ইউক্রেন শান্তিচুক্তি কার্যত থমকে আছে।

গত বুধবার মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেন শান্তিচুক্তি সম্ভাবনার গতি থমকে আছে। ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকে যা কিছু আলোচনা হয়েছিল, তার সবই অমীমাংসিত বলেও জানানো হয়।

বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই রিয়াবকভের একটি বক্তব্য প্রকাশ করে। সেখানে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে শান্তিচুক্তির পক্ষে অ্যাঙ্কোরেজে যে অগ্রগতি হয়েছিল, দুর্ভাগ্যবশত তা থমকে গেছে।

এই অচলাবস্থার জন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোকে দায়ী করেছেন রিয়াবকভ। ইউরোপিয়ান দেশগুলো শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ বন্ধ করতে ট্রাম্প যে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, রিয়াবকভের এই মন্তব্যের পর যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সব আশা ধূলিসাৎ হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আলাস্কায় ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও যুদ্ধ বন্ধ করতে মস্কোর পক্ষ থেকে কোনো অর্থবহ প্রতিশ্রুতি আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার মধ্যেই গত মঙ্গলবার পুতিন জানান, চলতি বছর ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে মস্কো পুরোপুরি কৌশলগত প্রভাব ধরে রেখেছে বলেও দাবি করেন পুতিন।

এদিকে সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তা নিয়ে ইউক্রেনের উচিত তার দখল করা সব অঞ্চল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞাই কেবল রাশিয়ার লাগাম টেনে ধরতে পারে। তবে ট্রাম্প এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।