
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক মাত্রায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থার মধ্যেও সাংবাদিকরা মানবিক দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এসেছেন। ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী আনাস আয়্যাদের প্রকাশিত ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে-সাংবাদিক সালেহ আল-জাফারাওয়ি এবং আরও কয়েকজন ব্যক্তি প্রেস লেখা জ্যাকেট পরে উত্তর গাজার অন্ধকার সড়কে হাঁটছেন। তারা মাইকে জানাচ্ছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়েছে, যেন মানুষ আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেন।
এদিকে, গত ২৪ মাসে গাজার বিপর্যস্ত জনগণের সঙ্গে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শহরসহ নানা প্রান্তের মানুষের সংহতির চিত্র আরও স্পষ্ট হয়েছে। নিউইয়র্ক সিটির ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মেক্সিকো সিটি ও লন্ডন-রোম-প্যারিসে বিশাল সমাবেশ-সবখানেই মানুষ ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে আওয়াজ তুলেছে।
প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ ‘গাজার জন্য ন্যায়বিচার’ দাবিতে সড়কে নেমেছে, স্লোগানে মুখর করেছে শহরগুলোকে। তবে গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ থামাতে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতিতে ভূখণ্ডটির শাসকগোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল সম্মত হলেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজায় ফিরে যেতে ফিলিস্তিনিদের কঠোরভাবে সতর্ক করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র অ্যাভিখাই আদরেই বলেছেন, ওয়াদি গাজার উত্তরের অঞ্চলটি এখনো ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে বিবেচিত। তার দাবি, ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজা সিটি ঘিরে রেখেছে এবং সেখানে ফেরত যাওয়া ‘জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’
তিনি গাজার বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছেন,‘আপনারা উত্তরে ফিরে যাবেন না, কিংবা এমন কোনো এলাকায় যাবেন না যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলসহ গোটা উপত্যকায় এখনও সামরিক অভিযান চলছে। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশনা জারি হলে তবেই আপনারা চলাচল করুন।’
ফলে একদিকে সাংবাদিকদের মানবিক প্রচেষ্টায় গাজার অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কে মানুষের কাছে আশার বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনার সতর্কতা আবারো সেই আশাকে অনিশ্চয়তার ছায়ায় ঢেকে দিচ্ছে।