
গাজামুখী ত্রাণবাহী সুমুদ ফ্লোটিলার ১৩টি জাহাজ জব্দের পরও উপত্যকার দিকে এগিয়ে চলেছে বহরের আরো অন্তত ৪০টি জাহাজ।
এর আগে গাজা অভিমুখী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘিরে ফেলে ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ।
বুধবার রাতে আলমা, আদারা ও সিরিয়াস নামের তিনটি জাহাজে দখলদার ইসরাইলি সেনারা উঠে পড়ে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই।
অন্যদিকে, ফ্লোটিলার আয়োজকদের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা তাদের জাহাজগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
গাজা অভিমুখী এই মিশনের আয়োজকরা বলেছেন, ইসরাইলি দুটি ‘যুদ্ধজাহাজ’ দ্রুতগতিতে এসে বহরের তিন জাহাজ আলমা, আদারা ও সিরিয়াসকে ঘিরে ফেলে। এসময় সবধরনের নেভিগেশন ও যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। জাহাজে অবস্থানরত আয়োজক থিয়াগো আভিলা এক সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচলের ঘটনাকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ‘সাইবার হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।
মিডেল ইস্ট আই জানিয়েছে, আদারা নামে জাহাজে ইসরাইলি সেনারা ওঠার পর সেটিতে থাকা অধিকারকর্মীদের তাদের মোবাইল ফোন পানিতে ফেলে দিতে দেখা গেছে৷ তবে তারা ইচ্ছা করে মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছেন নাকি তাদের বাধ্য করা হয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়।
সুমুদ ফ্লোটিলার অফিসিয়াল চ্যানেলগুলোর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশনের জাহাজগুলোকে অবৈধভাবে আটক করা হচ্ছে। ক্যামেরা অফলাইনে আছে এবং সামরিক কর্মীরা জাহাজে উঠেছেন। আমরা জাহাজে থাকা সকল অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা এবং অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের এই নৌবহরে বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ রয়েছে। এসব নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।