Image description

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের মন্তব্যের জবাবে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ক্রেমলিন। রাশিয়াও যুদ্ধের জন্য তার সেনাবাহিনী প্রস্তুত রেখেছে বলে পাল্টা সতর্কতা দিয়েছে।

এর আগে পিট হেগসেথ বলেছিলেন, শান্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জবাবে ক্রেমলিন জানিয়েছে, রাশিয়াও তার সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা-ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য সব উপায়ে শক্তিশালী করতে চাই, একই সঙ্গে আমরা সকল সমস্যাার সমাধানের জন্য শান্তির প্রতি পূর্ণ সমর্থন রাখছি। এর মধ্যে ইউক্রেন সংকটও রয়েছে। কূটনৈতিক আলোচনা ও রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে আমরা উন্মুক্ত।’

এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেছিলেন, আমার প্রথম প্লাটুনের মূলমন্ত্র ছিল—যারা শান্তি চায় তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। এটি অবশ্যই নতুন কোনো ধারণা নয়। এই ধারণার উৎপত্তি চতুর্থ শতকের রোম থেকে। এমনকি ওয়ার ডিপার্টমেন্টের প্রথম নেতা ও আমাদের প্রথম সর্বাধিনায়ক জর্জ ওয়াশিংটনসহ অনেকেই বারবার তা উদ্ধৃত করেছে। এটি সহজ কিন্তু গভীর সত্যকে ধারণ করে: শান্তি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্ত থেকে, নবপ্রতিষ্ঠিত ওয়ার ডিপার্টমেন্টের একমাত্র মিশন হলো যুদ্ধ করা, যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়া এবং জয়লাভের প্রস্তুতি নেওয়া। এ প্রচেষ্টা নিরলস ও আপসহীন। কারণ আমরা যুদ্ধ চাই বলেই নয়—এখানে কেউ যুদ্ধ চায় না বরং আমরা শান্তিকে ভালোবাসি বলেই। আমরা আমাদের নাগরিকদের জন্য শান্তি চাই। তারা শান্তি পাওয়ার যোগ্য, এবং তারা সঠিকভাবেই আমাদের কাছ থেকে তা প্রত্যাশা করে।’

মার্কিন ওয়েবসাইট অ্যাক্সিওসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেন শুধু কূটনৈতিক উপায়ে তার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। প্রতিকক্রিয়ায় পেসকভ বলেন, আলোচনার প্রক্রিয়ায় বর্তমানে এক ধরনের বিরতি চলছে।

তিনি আরও বলেন, আলোচনায় ফেরার ব্যাপারে কিয়েভ তাড়াহুড়ো করছে বলে মনে হচ্ছে না।