
পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল অনুযায়ী রক্ষাকবচের দাবিতে লাদাখে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বুধবারের প্রাণঘাতী সহিংসতার পর লাদাখের উপরাজ্যপাল কারফিউ জারি করেন, যা এখনও বহাল রয়েছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই শুক্রবার আন্দোলনরত পরিবেশকর্মী ও শিক্ষাবিদ সোনাম ওয়াংচুককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
লাদাখ ভারতের কাছে কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ চীন আর পাকিস্তান—দুই দেশেরই সীমানা জুড়ে আছে লাদাখের সঙ্গে। লাদাখের এই আন্দোলনের প্রভাব জম্মু-কাশ্মীরেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকরা।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী উমর আবদুল্লাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি, তবুও তারা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হওয়ায় উৎসবে মেতেছিল। কিন্তু এখন তারা নিজেদের 'প্রতারিত' মনে করছে। তিনি বলেন,
"এখন আপনারাই কল্পনা করুন, যখন জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আমাদের কতটা প্রতারিত করা হয়েছে, কতটা নিরাশ হয়েছি আমরা।"
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল দীপেন্দ্র হুডা এবং সিনিয়র সাংবাদিক রাহুল পণ্ডিতা দুজনেই মনে করেন, লাদাখের আন্দোলন যদি সরকার ঠিকমতো সামলাতে না পারে, তাহলে এর প্রভাব কাশ্মীরেও পড়বে এবং সেখানকার যুব-সমাজ লাদাখের দিকে নজর রাখছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে লাদাখ নিয়ে সরকারের সতর্ক থাকা উচিত যেন এই বিক্ষোভ হাতের বাইরে চলে না যায় এবং চীন কোনো সুযোগ না পায়।