
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ২১টি পয়েন্ট সম্বলিত সেই পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। ট্রাম্পের প্রণীত এই ২১ দফা পরিকল্পনার একটি কপি সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার হাতে এসেছে।
বৈঠক সম্পর্কে অবগত কূটনৈতিকরা জানান, পরিকল্পনাটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সব জিম্মির মুক্তি এবং ধাপে ধাপে গাজার কর্তৃত্ব হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের মনে করেন, মানবিক সহায়তা, রাজনৈতিক ছাড় এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ধারাবাহিক বিন্যাসের কারণে পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হবে।
পরিকল্পনার প্রধান দফাগুলো
নথি অনুযায়ী প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো হলো—
- গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি।
- সব জিম্মির নিঃশর্ত মুক্তি।
- হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি, যাদের মধ্যে ১০০ থেকে ২০০ জন কঠোর সাজাপ্রাপ্তও রয়েছেন।
- আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মানবিক সহায়তা অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করা।
এছাড়া পরিকল্পনায় গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক আরব বাহিনী হামাসের অস্ত্র সংগ্রহ করবে। বিনিময়ে, যারা নিরস্ত্র হয়ে গাজা ছাড়তে রাজি হবে তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমার প্রস্তাব থাকবে।
প্রশাসন ও পুনর্গঠন
রোডম্যাপ অনুযায়ী, গাজা সাময়িকভাবে একটি আন্তর্জাতিক আরব নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে একটি কমিটি গঠিত হবে, যারা দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজ দেখবে। নির্দিষ্ট সময় পর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেবে পিএ।
পুরো গাজাজুড়ে নিরাপদ মানবিক করিডর তৈরি করা হবে এবং পাঁচ বছরের মধ্যে পুনর্গঠন কাজ সম্পন্ন হবে, যা আন্তর্জাতিক ও আরব কনসোর্টিয়াম পরিচালনা করবে।
যুক্তরাষ্ট্র গ্যারান্টি দেবে যে, ইসরাইল পশ্চিম তীর দখল (অ্যানেক্স) করবে না এবং উভয় পক্ষ ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি চূড়ান্ত স্থিতি বিষয়ক আলোচনায় ফেরত আসবে।
তবে পুরো পরিকল্পনার শর্ত হলো—হামাসকে অবশ্যই অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে এবং গাজা ত্যাগ করতে হবে।