Image description

বিহারে ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, রাজনীতিতে উত্তাপ ততটাই বাড়ছে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের স্রোতে চারদিকে শোরগোল। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগ হলো বিহারে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীর উপস্থিতি। ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনার পর বিজেপি এই অভিযোগ তোলে। তবে এর কড়া জবাব দিয়েছেন অল–ইন্ডিয়া ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে বিহারের পূর্ণিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস ও রাজ্য জনতা দল (আরজেডি) বিহারে তথাকথিত বাংলাদেশি ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ আশ্রয় দিচ্ছে। জবাবে ওয়াইসি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫শে সেপ্টেম্বর) বলেন, বিহারে কোনো বাংলাদেশি নেই। বিশেষ করে সীমাঞ্চল অঞ্চলে, যেখানে আগের নির্বাচনে তার দল ভালো ফল করেছিল।

ওয়াইসি বলেন, ‘মোদিজি বলেছেন, বিহারে বাংলাদেশি আছেন।’ এ সময় তিনি মোদির উদ্দেশে বলেন, ‘মোদিজি, বিহারে বা সীমাঞ্চল অঞ্চলে কোনো বাংলাদেশি নেই। তবে আপনার দিল্লিতে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বোন বসে আছেন। তাকে বাংলাদেশে পাঠান। সীমাঞ্চল অঞ্চলে আনুন, আমরাই তাকে বাংলাদেশে পৌঁছে দেব!’

আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এই বক্তব্য আসলে শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করেই মোদিকে কটাক্ষ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে তিনি দিল্লিতেই আছেন।

অবৈধ অভিবাসন—বিশেষ করে, বাংলাদেশি—দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের বড় রাজনৈতিক ইস্যু এবং জাতীয় নিরাপত্তায় উদ্বেগের জায়গা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করতে অভিযানও চালানো হয়েছে।

বিহারে বিষয়টি আরও আলোচিত হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) ঘিরে। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে বিরোধীরা বলছে দরিদ্র ও সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার কৌশল। তবে কমিশনের দাবি, এর মাধ্যমে নির্বাচন আরও স্বচ্ছ হবে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বিহারের ভোটার তালিকায় নেপালি, বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের নামও পেয়েছে।