Image description
 

যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্ককে হত্যার ঘটনায় ২২ বছর বয়সী এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় শুক্রবার ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেনসার কক্স এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

গত বুধবার ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ৩১ বছর বয়সী কার্ক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। তিনি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ রক্ষণশীল যুব আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ট্রাম্পেরও ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন তিনি।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত তরুণ টাইলার রবিনসন বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটন কাউন্টি থেকে তার বাবা ও এক বন্ধুর সহায়তায় গ্রেপ্তার হন। তিনি পরিবারসহ ওই এলাকায় থাকতেন, যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে। রবিনসন মরমন ধর্মভিত্তিক পরিবার থেকে এসেছেন এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে বড়।

 

শিক্ষাজীবনে তিনি ডিক্সি টেকনিক্যাল কলেজের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রোগ্রামে পড়াশোনা করছিলেন। এর আগে ২০২১ সালে ইউটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও এক সেমিস্টার পর আর পড়াশোনা চালিয়ে যাননি।

 

কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিনসন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের একটি ভবনের ছাদ থেকে শক্তিশালী বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল দিয়ে প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে গুলি চালান। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা কার্তুজে লেখা বার্তাগুলোতেও তদন্তকারীদের নজর কাড়ে। একটিতে লেখা ছিল—“ওই, ফ্যাসিবাদী! ধরো।” আরেকটিতে ছিল ইতালির ফ্যাসিবাদবিরোধী গান বেল্লা চাও এর লাইন। অন্যগুলোতে অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির প্রতীকও পাওয়া গেছে।

এফবিআই জানিয়েছে, গুলি চালানোর একদিন আগে রবিনসন তার পরিবারকে বলেন, তিনি কার্ককে পছন্দ করেন না, কারণ তিনি ‘ঘৃণা ছড়ান’। যদিও রবিনসনের সরাসরি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা মেলেনি। তিনি স্বতন্ত্র ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত ছিলেন।

কার্ক তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল রাজনীতিকে জনপ্রিয় করতে কাজ করছিলেন এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে জাতিগত, লিঙ্গগত ও অস্ত্র মালিকানা বিষয়ে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

সূত্র: বিবিসি,