Image description

কাতারে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত যোসি শেলিকে তলব করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইসরাইলি গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

 

কাতারে হামাসের শীর্ষ নেতাদের ওপর ইসরাইলি আক্রমণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, এটি তার নতুন প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কের টানাপোড়েন

মঙ্গলবার দোহার হামলার আগেই আবুধাবি ও তেল আবিবের সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। পশ্চিম তীর দখল করে নেওয়ার সম্ভাব্য ইসরাইলি পদক্ষেপ নিয়ে আমিরাত আগেই সতর্ক করেছিল যে এটি হবে তাদের কাছে ‘লাল রেখা’।

আরব আমিরাতে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত যোসি শেলি।

হামাস নেতাদের হত্যাচেষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় তোলে। আমিরাতও এতে যুক্ত হয়। 

বুধবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারকে সতর্ক করে বলেন, ‘হামাস নেতাদের বহিষ্কার করুন বা বিচার করুন, নচেৎ আমরা করব।’ 

এই বক্তব্যকেও ইউএই ‘শত্রুতাপূর্ণ’ মন্তব্য আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানায়। ওই সময় আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান উপসাগরীয় দেশগুলো সফরে ছিলেন, যেখানে আঞ্চলিক সমন্বয় জোরদারের চেষ্টা চলছিল।

 

কূটনৈতিক পদক্ষেপ

আবুধাবি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো আসেনি, তবে গণমাধ্যম বলছে, আরব আমিরাত কাতারের অনুরোধে তেল আবিবে তাদের দূতাবাস বন্ধ করার বিষয়টিও বিবেচনা করছে। পাশাপাশি, আবুধাবি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রদূত যোসি শেলিকে সরিয়ে দিতে আগ্রহী, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে প্রটোকল ভঙ্গ ও নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

কাতারের ভূমিকা ও সংবেদনশীলতা

দোহায় দীর্ঘদিন ধরে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় রয়েছে এবং সেখান থেকেই গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে মধ্যস্থতা চালিয়ে আসছে কাতার। এমন অবস্থায় কাতার রাজধানীতে ইসরাইলি হামলা কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জরুরি সম্মেলন

এদিকে, আসছে রোববার ও সোমবার দোহায় আরব–ইসলামি জরুরি সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে ইসরাইলি হামলার ঘটনা নিয়ে আঞ্চলিক অবস্থান সমন্বয় করা হবে বলে জানা গেছে।