
নেপালে চলমান বিক্ষোভ-অভ্যুত্থানের মুখে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তাঁর পদত্যাগের পরপরই দেশটির পরবর্তী সরকারপ্রধান কে হবেন তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। এই তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত নাম ডিজে সুদান গুরুং।
সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিকমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে আছেন সুদান। ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সন্তান হারানোর পর তিনি সমাজসেবায় যুক্ত হন এবং ‘হামি নেপাল’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তোলেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা বিস্তার ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকার জন্য সাধারণ মানুষের আস্থা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
নাটকীয়ভাবে সুদানের রাজনীতিতে আবির্ভাব ঘটে ২০২৩ সালে, যখন বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সেসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সামনের সারিতে দাঁড়ান তিনি। সেখান থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর পরিচিতি বিস্তৃত হয়।
সাম্প্রতিক আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে উজ্জীবিত করছে ডিজে সুদানের প্রতিবাদী গান। টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর স্লোগান, ভিডিও ও সংগঠনের বার্তা।
রাষ্ট্রের সর্বস্তরে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনগণ সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ওলি বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।