Image description
 

ইসরাইলের হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তীব্র নিন্দার মধ্যে এবার জরুরি আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছে কাতার। আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ও সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কিউএনএ জানিয়েছে, দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরাইলের হামলার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য কাতার একটি জরুরি আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করেছে।

এদিকে বুধবার সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দোহায় ইসরাইলি হামলা কেবল আঞ্চলিক নিরাপত্তাই নয়, গাজায় জিম্মিদের জীবনকেও ঝুঁকিতে ফেলেছে।
হামলার জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়ে আল-থানি বলেন, ‘পুরো অঞ্চল থেকে একটি প্রতিক্রিয়া আসবে। এই প্রতিক্রিয়া বর্তমানে এই অঞ্চলের অন্যান্য অংশীদারদের সাথে আলোচনা এবং পরামর্শের অধীনে রয়েছে।’

তিনি বলেন, শিগগিরই আঞ্চলিক মিত্রদের নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে তা সেখানেই ঠিক করা হবে। আগামী রোববার ও সোমবার কাতারের রাজধানীতে এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন কিছু আশা করছি যা অর্থপূর্ণ হবে এবং ইসরাইলকে এই আগ্রাসন অব্যাহত রাখা থেকে বিরত রাখবে।’ কাতারি নেতা আরও বলেন যে, ইসরাইলি হামলার লক্ষ্য ছিল ‘শান্তির যেকোনো সম্ভাবনা’ নষ্ট করা।

গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাজায় মার্কিন প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের সময় কাতারের রাজধানী দোহায় হামাসের একটি অফিস ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল।

ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যার মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়ার ছেলে হুমাম, তিনজন দেহরক্ষী এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন বলে জানা গেছে।


শীর্ষনিউজ