Image description

যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১-এর হামলার ২৪তম বছর আজ। বিমান ছিনতাই করে ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর এই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার ২৪ বছরে ১,৬০০ জনেরও বেশি নিহতকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আরো ১,১০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

ওই হামলায় দুটি বিমান আছড়ে পড়েছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে। একটি আঘাত হেনেছিল পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে এবং আরো একটি বিমান ভেঙে পড়েছিল পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলের একটি মাঠে। মোট ৪টি বিমান ছিনতাই করেছিল তারা।

হামলার পর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দুটি ভবনেই আগুন ধরে যায়।

ভবন দুটিতে বহু মানুষ আটকা পড়েন। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী। সুউচ্চ এ দুটি টাওয়ার ভবনই ছিল ১১০ তলা করে। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভবন দুটি ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে।
মৃত্যু হয় বহু মানুষের। অন্যদিকে তৃতীয় প্লেনটি পেন্টাগনের সদর দপ্তরে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে।

এরপর সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ প্লেনটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ প্লেনটির যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এই ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারান ২ হাজার ৯৭৭ জন মানুষ।

নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৭৮টি দেশের নাগরিকও ছিলেন। গুরুতর আহত হন প্রায় ২৫ হাজার।

বৃহস্পতিবার নানা আয়োজনে দিনটিকে স্মরণ করবেন মার্কিন নাগরিকরা। প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটিতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল-মালা-মোমবাতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চত্বরে হাজির হবেন। স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরে বার্ষিক আয়োজনে শ্রদ্ধাঞ্জলির পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নিহতদের নাম পাঠ এবং নীরবতা পালন করা হবে। 

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের এ হামলা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হওয়া সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। আল-কায়েদা এ হামলা চালিয়েছে দাবি করে এর পর থেকে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট।  জঙ্গিবাদ দমনের নামে আফগানিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে সামরিক আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে প্রাণ হারান বহু নিরপরাধ মানুষ। 

পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে পাকিস্তানে এক অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর তা আমেরিকার অর্থনীতি এবং বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। ২০০৬ সালে আবার নতুন করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে হামলার স্থানে নিহতদের স্মরণে বেশ কয়েকটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র : সিবিএস