আগামী ২০ জানুয়ারি (সোমবার) ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের শপথ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া থাকবে ক্যাপিটল হিল।
৪৮ কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হচ্ছে সাত ফুট উঁচু বেড়া। নিরাপত্তা কর্তারা বলছেন, এই বেড়া টপকে যাওয়া যাবে না। চেকপয়েন্ট বা অন্য জায়গায় থাকবেন ২৫ হাজার সুরক্ষা কর্মী। প্রায় আট হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। চার হাজার পুলিশ অফিসারকে নিরাপত্তা রক্ষার বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হবে
এই কর্মকাণ্ড মূলত আগামী সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথকে ঘিরে। এর আগে দুইবার ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। অন্তত দুইটি জায়গায় নতুন বছরের অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। নিউ অরলিন্সে সাধারণ মানুষের উপর ট্রাক চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেছে এক সাবেক সেনা কর্মী। তাই ট্রাম্পের শপথ নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনো ঝুঁকি নিতে চান না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
সিক্রেট সার্ভিসের স্পেশ্যাল এজেন্ট ইনচার্জ ম্যাট ম্যাককুল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে বাস করছি।’
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে সম্ভাব্য সংগঠিত কোনো আক্রমণের আগাম খবর নেই। কিন্তু তারা চিন্তিত কোনো একজন ব্যক্তির আক্রমণের চেষ্টা নিয়ে। নিউ অরলিন্স ও অন্য জায়গায় একজন মানুষই আক্রমণ করেছে।
ক্যাপিটলের পুলিশ প্রধান থমাস মাঙ্গের বলেছেন, ‘আগামী দিনগুলিতে কোনো একক আক্রমণকারীর জন্য চরম সতর্কতা বহাল থাকবে।’
এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, নিউ অরলিন্সের কায়দায় আক্রমণের চেষ্টা হতে পারে।
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে ক্যাপিটল হিল ও তার আশপাশের এলাকায় কোনো সাধারণ যানবাহন চলবে না। এন্ট্রি পয়েন্টগুলি পুরোপুরি ব্লক করে দেয়া হবে।
ওয়াশিংটনে ৩৪ হাজার পাঁচশ হোটেলরুম আছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যেই বুক হয়ে গেছে। ট্রাম্প যখন প্রথমবার শপথ নেন, তখন হোটেলের ৯৫ শতাংশ ঘর ভর্তি ছিল। ফলে এবারও প্রচুর মানুষ আসবেন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
আগামী সোমবার ক্যাপিটলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখন সেখানে থাকবেন কংগ্রেস সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিক, প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিদেশি অতিথি এবং প্রচুর মানুষ।
এদিকে, আগামী শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে ওয়াশিংটনে একাধিক ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হতে পারে। মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ জানিয়েছেন, শনিবার ২৫ হাজার মানুষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। শনি থেকে সোমবারের মধ্যে আরো অনেকগুলো মিছিল বা বিক্ষোভ হতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষেও মিছিল হতে পারে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।