Image description

ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানি সর্বকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ২০২৩-২৪ সালে ২১ হাজার ৮৩ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে, যা ২০১৩-১৪ সালের  তুলনায় ৩০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৮৬ কোটি রুপি।

অথচ ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ ছিল। অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত এখন ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, পিনাকা রকেট সিস্টেম এবং ডর্নিয়ার বিমানের মতো প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করে বিশ্বের শীর্ষ ২৫ অস্ত্র রপ্তানিকারকদের মধ্যে অন্যতম।

গুজরাটের গান্ধীনগরে রাষ্ট্রীয় রক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সোমবার ভাষণ দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন ভারত দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মূল্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা ২০২৩-২৪ সালে ১.২৭ লক্ষ কোটি রুপির রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছি, যা ২০১৪-১৫ সালের তুলনায় ২.৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে ভারতে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে যে জোর দেয়া হয়েছে তা গর্বের বিষয়। শুধু বিনিয়োগ নয়, নীতিগত সমর্থনের ফলে ভারত আজ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম গুলির নিট রপ্তানিকারকে পরিণত হয়েছে। এর আগে আমরা সবচেয়ে বড় আমদানিকারকদের মধ্যে একজন ছিলাম।

বর্তমানে, ভারত ১০০ টিরও বেশি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করে। ২০২৩-২৪ সালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির জন্য প্রধান তিনটি গন্তব্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং আর্মেনিয়া।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, ২০২৯ সালের মধ্যে প্রতিরক্ষা রপ্তানি আরও ৫০,০০০ কোটি রুপিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা রপ্তানির তালিকায় রয়েছে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট, ডর্নিয়ার বিমান, চেতক হেলিকপ্টার, দ্রুত ইন্টারসেপ্টর বোট এবং লাইটওয়েট টর্পেডোসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।