Image description
 

প্রায় তিন মাস পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে নতুন তথ্য দিল ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান এ.পি. সিংহ। শনিবার তিনি দাবি করেছেন, চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া সামরিক সংঘর্ষে ভারত পাঁচটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ও একটি বড় সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে। 

 

ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো এ ধরনের দাবি প্রকাশিত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই দাবি সরাসরি অস্বীকার করেছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে এক অনুষ্ঠানে এ.পি. সিংহ বলেন, অধিকাংশ পাকিস্তানি বিমানকে রাশিয়ান নির্মিত এস-৪০০ সিস্টেম দ্বারা লক্ষ্য করে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং ডেটা দেখিয়ে এই হামলাগুলোর নিশ্চিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

  

তিনি জানান, ‌‘আমাদের কাছে পাঁচটি ফাইটার জেট নিশ্চিতভাবে ভূপাতিত হয়েছে এবং একটি বড় সামরিক বিমানও রয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ওই বড় বিমানটি সম্ভবত একটি নজরদারি বিমান, যা ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ধ্বংস করা হয়েছে।

তিনি এই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘এটি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভূপাতিত বিমান’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তারা এবং বিমান বাহিনী সদস্যরা এই ঘোষণা শুনে উৎসাহিত হন।

বিমান বাহিনী প্রধান সিংহ যন্ত্রপাতি ও বিমানবাহিনীর নাম উল্লেখ না করলেও জানান, বিমান হামলায় আরও একটি নজরদারি বিমান এবং ‘কয়েকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান’ যেগুলো পাকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দুটি বিমান ঘাঁটিতে পার্ক করা ছিল, তা ধ্বংস করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘ভারত একটিও পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস করেনি।’ 

তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘সত্য উদ্ঘাটনের জন্য উভয় পক্ষেরই বিমান তালিকা স্বাধীন পর্যবেক্ষণে উন্মুক্ত হওয়া উচিত।’ 

 

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের মিথ্যা দাবি পারমাণবিক উত্তেজনার মধ্যে ভুল কৌশলগত হিসাব-নিকাশের ঝুঁকি বাড়ায়।’

পাকিস্তান আগেও দাবি করেছে, তারা মে মাসের সংঘর্ষে ভারতীয় ছয়টি বিমান ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ফরাসি নির্মিত রাফালে বিমান। তবে ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।

ফ্রান্সের বিমান বাহিনী প্রধান জেরোম বেল্লাঞ্জার পূর্বে জানিয়েছেন, তিনি তিনটি ভারতীয় বিমানের ক্ষতির প্রমাণ দেখেছেন, যার মধ্যে একটি রাফালে রয়েছে। তবে ভারতীয় বিমান বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগন পাকিস্তানে মোতায়েন এফ-১৬ বিমানের ক্ষতির বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য না পাওয়ায় এখনও এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।