
গাজায় সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ২০০ জন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিকের নেওয়া ‘ফ্রিডম টু রিপোর্ট’ নামক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। সংগঠনটির সিনিয়র নেতা ইজ্জাত আল-রিশক এক বিবৃতিতে বলেন, “এই উদ্যোগের মাধ্যমে গাজা উপত্যকায় বিদেশি সাংবাদিকদের জন্য সেন্সরবিহীন ও অবিলম্বে প্রবেশাধিকার দাবি করা হয়েছে এটি হামাস আন্তরিকভাবে প্রশংসা করে।”
উল্লেখ্য, এই আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা শুরু করেন খ্যাতনামা যুদ্ধ-সাংবাদিক আন্দ্রে লিওন। তাঁর নেতৃত্বে এক পিটিশনে বলা হয়েছে, “গাজায় কেবল মানবিক সংকট চলছে না, বরং একটি গুরুতর তথ্য-অন্ধকারও বিরাজ করছে। যা জনসাধারণের জানার অধিকার এবং সাংবাদিকতার মৌলিক দায়িত্ব ক্ষমতার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা কে ক্ষুণ্ণ করছে।”
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, “ইসরায়েলের গাজায় গৃহীত কৌশলটি একেবারেই কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার অনুসরণ: বিবরণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন কণ্ঠস্বর রোধ এবং বাস্তবতা থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা।”
হামাস নেতা আল-রিশক টেলিগ্রামে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেন, “গাজায় বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া ইসরায়েলের নীতি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সরাসরি লঙ্ঘন। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সত্য উন্মোচনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সন্ত্রাসের ভয়াবহতা আড়াল করার প্রচেষ্টা।”
প্রসঙ্গত, গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আল জাজিরার সাংবাদিক ও তাঁদের স্বজনরাও রয়েছেন।