
শনিবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. মাসউদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তার প্রথম পাকিস্তান সফর।
লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নও) নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ।
এই বিশেষ উপলক্ষে বিমানবন্দরটি ইরান ও পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায় সাজানো হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথিকে সম্মান জানিয়ে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সফরসঙ্গী হিসেবে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলও রয়েছে।
লাহোরে অবস্থানকালে তিনি জাতীয় কবি আল্লামা ইকবালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন এবং সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এই সফরে তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক এবং সিনেট চেয়ারম্যান ইউসুফ রেজা গিলানির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইরান ত্যাগের আগে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানান, তার এই সফরের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা। তিনি বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক শান্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে।
সীমান্ত বাজার ও আন্তঃসীমান্ত সংযোগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এসব উদ্যোগ সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলে দিতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পারস্পরিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি)-এ সক্রিয় অংশগ্রহণে ইরানের আগ্রহের কথাও জানান প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান। তিনি বলেন, ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড (OBOR)’ উদ্যোগের আওতায় এই করিডোর ইরানকে ইউরোপে প্রবেশের জন্য একটি গেটওয়ে হিসেবে কাজ করতে পারে।
তিনি আরও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার ইসলামি সংহতিকে দুর্বল করার কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।