
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করলে তেলআবিব ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তেহরানের জুমার নামাজের অস্থায়ী খতিব আয়াতুল্লাহ আহমদ খাতামি।
শুক্রবার (১ আগস্ট) জুমার নামাজের খুতবা দেওয়ার সময় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আয়াতুল্লাহ খাতামি বলেন, ‘শত্রুরা সর্বদা ইরানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। এখন তারা (ইরানের) ধ্বংসের কথা বলছে। কারণ তারা নিজেদেরকে জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতিতে দেখতে পাচ্ছে, কিন্তু আমরা সাইপ্রাস গাছের মতো দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ ইসরাইলের প্রতি ক্রমবর্ধমান ঘৃণা প্রদর্শন করে। অন্যদিকে ইরান শক্তিশালীভাবে আমেরিকার ঘাঁটিকে (কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটি) লক্ষ্য করে বিশ্বের কাছে তার শক্তি প্রদর্শন করেছে।’
খাতামি আরও বলেন, এই যুদ্ধ ইসরাইলকে একটি ‘ক্যান্সারযুক্ত টিউমার’ হিসাবে প্রকাশ করেছে, যা অপসারণ করতে হবে।
তিনি মুসলিম দেশগুলোকে সর্তক করে বলেন, যদি ইসরাইল শক্তিশালী হয়, তাহলে সিরিয়ার সঙ্গে যা করেছে তা তাদের ক্ষেত্রেও করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যুদ্ধের সূচনাকারী ছিল না, কিন্তু তারা দৃঢ়তার সঙ্গে নিজেদের রক্ষা করেছে।’
খাতামি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের রেকর্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক দশকগুলোতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২৫টি দেশে আক্রমণ করেছে এবং এর ইতিহাস ‘অপরাধের একটি কালো দলিল’।
গত ১৩ জুন ইসরাইলি সরকার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে এবং ১২ দিন ধরে তেহরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন ইসরাইলের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতানজ, ফোরদো এবং ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালায়।
ইসরাইলি হামলার পরপরই ইরানের সামরিক বাহিনী তেল আবিবে শক্তিশালী পালটা হামলা চালায়। ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস অ্যারোস্পেস ফোর্স অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩-এর অংশ হিসেবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ২২টি প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে অধিকৃত অঞ্চলের শহরগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৪ জুন দুদেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সূত্র: বার্তা সংস্থা মেহের