Image description

 

এর আগে, গত এপ্রিলে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তা কার্যকরের সময়সীমা পিছিয়ে পহেলা আগস্ট করেছিলেন। তার আগেই আবারও শুল্কহার ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। তবে বিষয়টা এখানেই থেমে থাকেনি। ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনার পাশাপাশি একাধিক মন্তব্যে রাশিয়া ও পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে এনে ভারতকে কটাক্ষও করতে ছাড়েননি মি. ট্রাম্প।

 

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্কের বিষয়ে ঘোষণার পর পাকিস্তানের সঙ্গে অয়েল রিজার্ভ নিয়ে চুক্তির ঘোষণা করেন তিনি।

 

সেই ঘোষণার সময় ভারতকে 'খোঁচা' দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, "পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা নতুন চুক্তি করেছি। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান যৌথভাবে বিশাল তেলের মজুদ গড়ে তুলবে। কোন তেল সংস্থা এই অংশীদারিত্বের নেতৃত্ব দেবে, সেটা আমরা ঠিক করব। কে জানে, হয়তো একদিন পাকিস্তান ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে।"

 

বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চুক্তি এখনো হয়নি। তবে বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যে খুশি নন তা হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই আবহে প্রশ্ন উঠেছে–– মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা ভারতে কী প্রভাব ফেলতে পারে? বাণিজ্যের দিক থেকে ভারতের কাছে এখন বিকল্প কোন রাস্তা খোলা আছে?

 

ভারতীয় পণ্যের ওপর বাণিজ্য শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লিখেছেন, "মনে রাখবেন, ভারত আমাদের বন্ধু হলেও তাদের সঙ্গে তুলনামূলকভাবে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ তাদের শুল্ক অনেক বেশি, বিশ্বের সবচেয়ে বেশিদের মধ্যে তারা রয়েছে। আর তাদের কঠোর এবং বিরক্তিকর নন মনেটরি বাণিজ্য বাধা রয়েছে।"

 

"এছাড়াও, তারা সবসময় রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জামের একটা বড় অংশ কিনেছে, আর চীনের পাশাপাশি রাশিয়ার এনার্জি সেক্টরের বৃহত্তম ক্রেতা তারাই। এটা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন সবাই চায় রাশিয়া ইউক্রেনে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুক।"

 

"তাই ভারত ২৫ শতাংশ শুল্ক দেবে এবং উপরোক্ত বিষয়ের জন্য জরিমানাও দেবে। পহেলা আগস্ট থেকে এটা জারি হবে।"

 

তবে দুই দেশের মধ্যে যে এই নিয়ে আলোচনা হবে তাও জানিয়েছেন তিনি।

 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আমরা এখন এই নিয়ে আলোচনা করছি। এই বিষয়টা ব্রিকসের সঙ্গেও যুক্ত, যা মূলত মার্কিন বিরোধী দেশগুলোর সমষ্টি এবং ভারতও সেই গোষ্ঠীর অংশ। এটা ডলারের ওপর আক্রমণ, আর আমরা কাউকে ডলারের ওপর আক্রমণ করতে দেব না।"

 

রাশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে ভারতের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্যও করতে দেখা গেছে তাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, "ভারত রাশিয়ার সাথে কী করে তাতে আমার কিছু যায় আসে না। যদি তারা তাদের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে একসঙ্গে ডোবাতে চায়, তাহলে তাদের সেটা করতে দিন। আমার কিছু যায় আসে না।"

 

পরিস্থিতি কতটা 'জটিল'?

বর্তমান পরিস্থিতিতে যে 'জটিলতা' তৈরি হয়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন বিশ্লেষকরা। একদিকে, ভারত ইতোমধ্যে অভিবাসন ইস্যু, মার্কিন আমদানিতে শুল্কসহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা জানিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার পাশ থেকে সরে আসা ভারতের পক্ষে কঠিন বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো রাখতে চায় ভারত। পাশাপাশি ব্রিকসও যে একটা বড় বিষয়, সেটা ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা সহজ নয়।

 

ওয়াশিংটনে অবস্থিত উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং বিদেশ নীতি বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত এখনো একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে। এখনো পহেলা আগস্ট হয়নি।"

 

"তার পরেও একটা চুক্তি হওয়া সম্ভব। কিন্তু ভারত ইতোমধ্যেই (শুল্কের ক্ষেত্রে, বৃহত্তর বাণিজ্য এবং অভিবাসন ইস্যুতে) ছাড় দিয়েছে এবং এটা কল্পনা করা কঠিন যে রাজনৈতিকভাবে আরও কিছু করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে।"

 

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০ বিলিয়ন ডলার (১৪৩ বিলিয়ন পাউন্ড)। তারপরও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে, যা কমিয়ে আনতে চান ট্রাম্প।

 

কী প্রভাব পড়তে পারে?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশ্লেষক উপমন্যু বসু বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "এই বাণিজ্য শুল্কের ঘোষণা খুব শকিং বলব না। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের একটা বড় ইস্যু হলো তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে নন-ডিপ্লোমেটিক পদ্ধতিতে ডিল করছে এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে ভাবনা চিন্তা করছে না।"

 

"ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি আগেও হয়েছে। কিন্তু যেভাবে বিষয়টাকে ট্রাম্প ডিল করেছেন, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট শেয়ার করেছেন, জরিমানা ঘোষণা করেছেন-তাতে একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব দেখা যেতে পারে। যদিও এখনো দুই দেশের মধ্যে এই নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলবে, কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দুই দেশের মধ্যে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।"

 

দুই দেশের সম্পর্কের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন মাইকেল কুগেলম্যানও।

 

তিনি লিখেছেন, "ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের পর থেকে কিছুটা অস্থিরতার মধ্যে থাকা ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্ত আরেকটা আঘাত করেছে। একটা বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্ককে কিছুটা ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করত। পরিস্থিতি আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।"

 

"ট্রাম্প যখন আবার ক্ষমতায় ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন দিল্লি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস ও আশা প্রকাশ করেছিল। এটা যুক্তিসঙ্গতও ছিল; কারণ ট্রাম্প ১.০-এর সময় তাদের সম্পর্ক দৃঢ় ছিল।"

 

"তারপরেও ওয়াশিংটনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মতো খুব কম দেশেরই সম্পর্ক ট্রাম্পের লেনদেন সংক্রান্ত নীতির কারণে এতটা ক্ষতিকারকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।"

 

বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে এখনই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছেন না 'জিন্দল স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স'-এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ড. গীতাঞ্জলি সিনহা রায়।

 

তার মতে, "ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। গতকাল দুই দেশ মিলে স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গেলে রাজনৈতিক, আর্থিক, প্রতিরক্ষা এবং সামাজিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ আসতে বাধ্য। বাণিজ্য অবশ্য দুই দেশের সম্পর্কের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে বাণিজ্যে কিছু হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে।"

 

কিছু ক্ষেত্রে এই শুল্কের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।

 

এই বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞের মতে, "বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণা আমাদের বেশ কয়েকটা সেক্টরকে প্রভাবিত করবে যার মধ্যে চামড়াজাত দ্রব্য, মেরিন প্রোডাক্ট এবং গহনাও রয়েছে। এগুলো শ্রমভিত্তিক সেক্টর তাই বাণিজ্য ভালো হলে সেখানে কর্মরতদের হাতে টাকা আসবে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং জিডিপিও বাড়বে।"

 

"তবে এখনই শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগস্ট মাসে দুই পক্ষের মধ্যে আবার আলাপ-আলোচনা হবে। এটা সত্যি যে তারপরেও বাণিজ্যের কিছু ক্ষেত্রে এই শুল্কের প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবা দরকার।"

 

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

ভারত যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইবে না, সে কথা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

'মানব রচনা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ'-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর উপমন্যু বসু বলেছেন, "রাশিয়া-ইউক্রেনের বিষয়ে ভারত প্রথম থেকে একটাই অবস্থান বজায় রেখেছে। ভারত যে যুদ্ধের পক্ষে নয়, তা স্পষ্ট করেছে। সেটা রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। বিশ্বজুড়ে রাশিয়া যে ডিপ্লোম্যাটিক ক্রাইসিসে পড়েছিল সেই সময় ভারত সাহায্য করেছে।"

 

"কিন্তু সমস্যা হলো যুক্তরাষ্ট্রের 'হয় আমরা, নয় ওরা'- এই নীতি। তারা এখনো মনে করে এটা ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ড। তারাই সর্বেসর্বা! যেটা তাদের বিদেশ নীতি এবং ট্রাম্পের বলার ধরন দেখে বুঝতে অসুবিসধা হয় না।"

 

তিনি মনে করেন ট্রাম্প প্রশাসনের এই নীতি ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশকেই প্রভাবিত করবে।

 

তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাব থাকলে চীনের জন্য বিষয়টা আরও সহজ হয়ে দাঁড়াবে, যার একটা ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও জটিলতা বাড়াবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিরতা প্রভাবিত হবে।"

 

"এই চিন্তা-ভাবনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও জটিল করে তোলে, বিশেষত একটা পক্ষ যখন নিগোশিয়েশনের জন্য রাজি হয় না। এখন দিল্লি কীভাবে এই বিষয়টা নিয়ে এগোয় সেটা দেখার।"

 

ড. সিনহা রায় মনে করেন, "রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। ভারত এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আঁচ আসতে দেবে বলে মনে হয় না।"

 

তিনি মনে করেন প্রতিরক্ষা খাতেও রাশিয়া থেকে আমদানি বজায় রাখবে ভারত।

 

তার কথায়, "রাশিয়া থেকে তেল এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অভ্যন্তরেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ওপর জোর দিলেও প্রতিরক্ষা সেক্টরে আমদানি রাশিয়া থেকে বন্ধ করতে পারবে না ভারত।"

 

পাকিস্তানের প্রসঙ্গ

উপমন্যু বসু ব্যাখ্যা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন নয়। তিনি বলেছেন, "জর্জ ডাব্লিউ বুশের সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সে দেশের সম্পর্ক ভালো ছিল। তাই বলে ভারতের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক খারাপ হতে দেননি। ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষেত্রে বিষয়টা অন্যরকম দাঁড়াচ্ছে।"

 

"আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের বিষয়ে ভারত ম্যাচিওরিটি দেখিয়েছে। তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কেন মনে করছে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক থাকলেই তারা যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী। এটা কূটনৈতিক দিক থেকে ম্যাচিওরিটি বলে আমি মনে করি না।"

 

ভারতের কাছে কী পথ খোলা আছে

বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতের কাছে একাধিক পথ খোলা আছে বলে মনে করেন উপমন্যু বসু। তার কথায়, "সম্ভাব্য একটা পথ হলো ট্রাম্পের সঙ্গে আবার নেগোশিয়েশনে গিয়ে ওই শুল্ক কমানো। আলাপ-আলোচনা অবশ্যই হবে, কিন্তু কতটা কমবে সেটা দেখার।"

 

"দ্বিতীয় পথ হলো অন্য বিকল্প খোঁজা। জাপান ও ফ্রান্সের সঙ্গে তো বাণিজ্যিক দিক থেকে সম্পর্ক ভালো ছিল, এখন যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ভারতের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। সেটাও কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে ভারত।"

 

অন্য বিকল্পের কথা বলেছেন ড. সিনহা রায়ও। তার মতে, "সম্ভাব্য পথের মধ্যে একটা হতে পারে যে ডেফিসিটটা (ঘাটতি) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হবে সেটাকে অন্য দেশে পরিচালিত করা।"

 

"বিদেশ নীতির দিক থেকে আমি মনে করি ভারতের বাণিজ্যের জন্য অন্য দেশের প্রতি এতটা নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই, অভ্যন্তরীণ দিক থেকে একটা ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার।"

 

বিষয়টাকে উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন তিনি।

 

"যেমন কোভিডের সময় অনেক সংস্থা চীন থেকে ফ্যাক্টরি সরিয়ে নিয়েছিল, সে দেশ থেকে আমদানি কমানোর কথা বলেছিল। কিন্তু চীনের উৎপাদন ক্ষমতা এত বেশি যে চাইলেও তাদের এড়ানো সম্ভব নয়," ব্যাখ্যা করেন তিনি।

 

"উদাহরণস্বরূপ জাপানও বলেছিল চীনের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, কিন্তু তেমনটা বাস্তবে হয়নি। ভারতেরও চীনের মতো নিজেদের উৎপাদন হাব হিসেবে তুলে ধরা উচিত। তার জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং এবং প্রোডাকশন সেক্টরের ওপর জোর দিতে হবে।" সূত্র: বিবিসি