
গাজা উপত্যকার কিছু এলাকায় সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে রোববার থেকে প্রতিদিন স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ‘কৌশলগত বিরতি’ কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
এই বিরতি কার্যকর হবে গাজার যেসব এলাকায় আইডিএফ বর্তমানে সক্রিয় নয়, বিশেষ করে আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ ও গাজা সিটির নির্দিষ্ট কিছু অংশে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনই এই বিরতি চলবে।
আইডিএফ বলছে, এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে।
মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর সুবিধার্থে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নির্দিষ্ট ‘নিরাপদ পথ’ খোলা থাকবে, যেন জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা খাদ্য ও ওষুধ গাজায় পৌঁছে দিতে পারে।
তবে আইডিএফ স্পষ্ট করে বলেছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলবে এবং ইসরায়েলি নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে এই বিরতির পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
শনিবার রাতে গাজায় ‘সাতটি ত্রাণ প্যাকেজ’ নিয়ে একটি বিমান থেকে সাহায্য সরবরাহ করে ইসরায়েল। তবে মানবিক সংস্থাগুলো এই ধরনের এয়ারড্রপকে ‘অপর্যাপ্ত’ ও ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে সমালোচনা করেছে।
ইসরায়েল বলছে, এয়ারড্রপ, মানবিক করিডোরসহ বিভিন্ন উদ্যোগ তাদের বিরুদ্ধে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করার অভিযোগ খণ্ডন করার অংশ।
এদিকে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অপুষ্টিজনিত কারণে অন্তত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েলের এই ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা এলো, যখন ত্রাণ সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিচ্ছে— গাজায় এখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে।