ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। গ্রিনল্যান্ডকে নিয়ন্ত্রণে নিতে সামরিক পদক্ষেপ বাতিলে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্তে হতবিহ্বল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। বুধবার ইউরোপীয় নেতাদের দুশ্চিন্তার বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ট্রাম্পের নাম সরাসরি না নিয়ে তিনি বলেন, সীমান্ত নীতি লঙ্ঘন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রতি করা বিবৃতির বিষয়ে ইউরোপের অন্য দেশের নেতাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় উল্লেখযোগ্য বোধগম্যতা ছিল। ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ঐকমত্য। ২০শে জানুয়ারি মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের আগে নতুন করে ইউরোপবাসীর ঘুম হারাম করে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড থেকে সামরিক হস্তক্ষেপ বাতিলে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এ দুটি অঞ্চল’কে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্বের অধীনে আনতে চান ট্রাম্প।
ইউরোপের কয়েকটি দেশের প্রধান ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনার পর এক বিবৃতি’তে শুলজ জোর দিয়ে জানান, সীমানা লঙ্ঘন না করা আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ চালিয়ে এ নীতি লঙ্ঘন করেছে। এরপর থেকে পূর্ব, পশ্চিমের সব দেশেই কম-বেশি সীমানা লঙ্ঘনের এ নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে দুর্বল বা শক্তিশালী সব দেশকেই সীমান্ত নীতি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। এদিকে ন্যাটোর অন্য সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। পরোক্ষভাবে ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপেরও নিন্দা করেন শুলজ। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে ন্যাটোতে নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া আছে। এমন পদক্ষেপ নেয়ার আগে মিত্রদের সাথে আলোচনা করা উচিত ছিল ট্রাম্পের। বুধবার ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের দাবিকে প্রত্যাখান করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তার এমন দাবি’কে ‘অবাস্তব কাল্পনিক’ বলে আখ্যায়িত করা হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে।