
ইসরাইলি অভিযান ইরাকে বিস্তৃত করার আশঙ্কা করছে ইরান। দেশটির কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কানি ইরাকে অবস্থিত মিত্র সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য ইসরাইলি বিমান হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে এবং অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন। লং ওয়ার জার্নালের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইরান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম শাফাক নিউজ এ তথ্য দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদাদে এই বৈঠকটি একটি বিরল প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা ইরাকি ভূখণ্ডে ইসরাইলি অভিযানের বিস্তার সম্পর্কে তেহরানের উদ্বেগকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।
যদিও আসাইব আহল আল-হক, হারাকাত হিজবুল্লাহ আল-নুজাবা, কাটাইব হিজবুল্লাহ এবং কাটাইব সাইয়্যেদ আল-শুহাদার মতো ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইরানের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, তারা ইরান-ইসরাইল সংঘাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে মূলত বিরত রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংযমের কারণ তেহরানের ইরাকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ। প্রতিবেশী দেশটি ইরানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখানে প্রতিবছর আনুমানিক এক বিলিয়ন ডলারের অবৈধ তেল আয়ের যোগান আসে। এ ছাড়া দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও খাতে এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রভাব রয়েছে।
সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরাকি মাটিতে মাত্র কয়েকটি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে আইন আল-আসাদ ঘাঁটি এবং এরবিলে মার্কিন কনস্যুলেটে হামলাও অন্তর্ভুক্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংঘাতের হুমকি সত্ত্বেও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এখন পর্যন্ত তাদের সম্পৃক্ততা প্রকাশ্য বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ রেখেছে।
শীর্ষনিউজ