Image description

মধ্যস্থতাকারীরা ইসরাইল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং জিম্মি মুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’ রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। পরবর্তী প্রশাসন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও এই চুক্তি বাস্তবায়ন অনিবার্য বলেছেন তিনি।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

প্যারিস সফররত ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি আশা করি খুব দ্রুত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাবো।, কিন্তু যদি আমরা তা না করি, তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির জন্য যে পরিকল্পনাটি সামনে রেখেছেন তা আগত প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।  প্রশাসন, এবং আমি বিশ্বাস করি যখন আমরা সেই চুক্তিটি নিশ্চিত করতে পারবো।  এটি মে মাসে  প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিশ্বের সামনে যে পরিকল্পনা রেখেছিলেন তার উপর ভিত্তি করে হবে’।

বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করেছে হামাস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার সময় ইসরাইল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করে আনে হামাস। তাদের মধ্যে ৯৬ জন এখনো গাজায় অবস্থান করছেন। ৩৪ জিম্মি ইতোমধ্যে মারা গেছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল

প্রথম পর্যায়ে চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৪ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশর।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে হামাসের সূত্র দিয়ে এএফপি জানায়, বন্দি বিনিময় চুক্তির প্রথম পর্যায়ে গাজায় আটক সব নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ বন্দীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, জীবিত থাকুক বা মৃত, ৩৪ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে হামাস। কিন্তু বন্দীরা যেখানে আছে, সেখানে যোগাযোগ করতে এবং জীবত-মৃতদের শনাক্ত করতে এক সপ্তাহের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনার জন্য গত এক বছরে অন্তত ১০ বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন ব্লিঙ্কেন।  কিন্তু তার মেয়াদ শেষের আগ পর্যন্ত এখনও এই প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি।  লেবাননে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও, পুরো সংকট এখনও কাটেনি। 

এছাড়া বাশার আল-আসাদের পতনের পর, সিরিয়াজুড়ে নিরলস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সীমান্ত বাফার জোন ডিঙিয়ে ইসরাইলি সেনারা ১৯৭৪ সালের ৫০ বছরের পুরনো চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

চলতি মাসের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেকের পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসবেন মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে, তাই এখন দেখার বিষয়।