
ইউক্রেনের জন্য বড় এক ধাক্কা এসেছে, যখন জার্মানি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে তারা আর ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করবে না। শুরুতে জার্মানির হাতে ছিল মোট ১২টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম। এর মধ্যে ৩টি ইউক্রেনকে দেওয়া হয়েছে, ২টি পোল্যান্ডে লিজ হিসেবে পাঠানো হয়েছে এবং একটি ব্যবহৃত হচ্ছে প্রশিক্ষণ অথবা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। বর্তমানে জার্মানির হাতে কার্যকর ৬টি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে এই ৬টি দিয়ে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা এবং ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস স্পষ্টভাবে বলেছেন, "আমরা আর ইউক্রেনকে কিছু দিতে পারি না।"
প্রতি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থে দেশের সকল বিভাগীয় শহরে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা সম্ভব ছিল। প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের মূল কাজ হলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মতো আকাশপথে আসা লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করে, সেগুলোকে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া। এটি একটি সমন্বিত ব্যবস্থা, যা একটি ট্রাক মাউন্টেড লঞ্চার, একটি রাডার সিস্টেম, একটি কন্ট্রোল সেন্টার এবং একটি পাওয়ার জেনারেটর নিয়ে গঠিত।
এছাড়া, বরিস পিস্টোরিয়াস জানিয়েছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেক্সেটের সঙ্গে সোমবার ওয়াশিংটনে সাক্ষাৎ করবেন এবং ইউরোপে মার্কিন সহায়তা নিয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করার বিষয়ে আলোচনা করবেন। তিনি কিছুদিন আগে একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন যাতে জার্মানি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি প্যাট্রিয়ট কিনে তা ইউক্রেনকে দিতে পারে, তবে সেটি অনুমোদিত হয়নি এবং আপাতত সে পথেও কোনো অগ্রগতি নেই।
তিনি আরও জানান, জার্মানি তাদের টরাস নামের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ইউক্রেনকে দেবে না। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। টরাস একটি জার্মান-সুইডিশ যৌথভাবে তৈরি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এবং যুদ্ধ বিমান থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।