
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, কূটনীতির দরজা এখনো খোলা রয়েছে। কূটনীতির পথে সামনে এগিয়ে যেতে ইরান তার সব রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করবে বলেও জানান তিনি। খবর প্রেস টিভির।
স্থানীয় সময় সোমবার প্রবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা কূটনীতি এবং গঠনমূলক পারস্পরিক যোগাযোগকে সমর্থন করি এবং যুদ্ধের বিরোধিতা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে যুদ্ধের ছায়া অপসারণের জন্য ইরানি জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য আমাদের হাতে থাকা সব রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহার করব।’
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ইরান কখনো যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করেনি বরং বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।
তবে, প্রেসিডেন্ট ইরানের শত্রুদের সতর্ক করে বলেছেন, ইরানি জনগণ শান্তি চাইলেও, তারা কোনোভাবেই অন্যের বশীভূত নয়।
পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বন্ধনের ভিত্তিতে ইরান সব জাতির জন্য ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা চায়।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরাইল-মার্কিন আগ্রাসনের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ইহুদিবাদী শত্রুরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন ইরানের ওপর আক্রমন করেছিল।’
তিনি বলেন, ইরান বারবার জানিয়েছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যখনই ইরান স্থিতিশীলতা ও শান্তির দিকে এগিয়ে যেতে চায়, তখনই ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকার হস্তক্ষেপ করে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ১২ দিনের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের সময় ইরান আত্মরক্ষার বৈধ সব ধরনের আন্তর্জাতিক নীতি এবং জাতিসংঘ সনদ মেনে চলেছে।