Image description

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি সংশোধন করে নতুন আইন পাস করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি শত্রুরাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রমে জড়িত প্রমাণিত হলে তার মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।

আইনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো সাজার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে না। আর সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা যাবে।

তবে বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পর ইরানের বেশ কয়েকজন আইনজীবী সমালোচনা করেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিবিসি বাংলা ও ইরান ফন্ট পেজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সংসদে গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি বাড়াতে সংশোধনী বিলটি বিপুল ভোটে অনুমোদিত হয়েছে। প্রস্তাবের মূল বক্তব্যে সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে এই শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠী চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ এবং মিনিস্ট্রি অব ইন্টেলিজেন্সকে শত্রুদের চক্র চিহ্নিত করার কর্তৃপক্ষ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল (যারা এরই মধ্যে শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত) বাদে অন্যান্য শত্রুরাষ্ট্র ও গোষ্ঠীগুলোকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে। এর আগে যে প্রস্তাবটি ছিল তাতে প্রতিপক্ষ রাষ্ট্র বা গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি এবং সংসদে ফেরত পাঠানোর জন্য এই অস্পষ্টতাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল।

সংশোধিত মূল প্রস্তাবের আরেকটি অনুচ্ছেদে জনসাধারণের মধ্যে বিভাজন বা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে শত্রু বা বিদেশি নেটওয়ার্কগুলোতে যারা তথ্য বা ভিডিও পাঠায় তাদের শাস্তি নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এই কর্মকাণ্ডগুলো এখন থেকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। একই সঙ্গে এর জন্য কারাদণ্ড এবং সরকারি ও জনসেবা থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা নিহত হন। অভিযোগ ওঠে, বিমান হামলার পাশাপাশি ইরানের অভ্যন্তরে মোসাদ এজেন্টরা গুপ্তহত্যায় অংশ নেন। এসব এজেন্টের বড় একটি অংশ ইরানি। যুদ্ধবিরতির পর তাদের বড় একটি অংশকে গ্রেপ্তার করে আইআরজিসি। কার্যকর করা হয় মৃত্যুদণ্ডও। কিন্তু ঠিক কতজন গ্রেপ্তার, কতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বা অভিযুক্তদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট করছে না ইরান।

শীর্ষনিউজ