
গাজার ওপর ইসরাইলের দীর্ঘদিনের অবরোধ ভাঙতে আবারও পথে নামল ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’। মানবিক সহায়তা ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে সংগঠনটি এবার নতুন একটি নৌযান পাঠিয়েছে, যার নাম ‘হানডালা’। এর আগে ‘ম্যাডলিন’ নামের একটি নৌযান আটক করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এবার সেই বাধা উপেক্ষা করে আবারও যাত্রা শুরু হয়েছে গাজার জন্য।
রবিবার (১৩ জুলাই) ইতালির সিরাকুসা বন্দর থেকে ‘হানডালা’ যাত্রা শুরু করে। ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আমাদের “ম্যাডলিন” নৌযান আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে জব্দ করে ১২ জন নিরস্ত্র কর্মীকে আটক করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু বৈশ্বিক সংহতির শক্তিতে আমরা গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছি।’ কোয়ালিশন জানিয়েছে, তাদের এই নৌযাত্রার মূল লক্ষ্য গাজার শিশুদের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি প্রকাশ করা।
সংগঠনটি জানিয়েছে, ঠিক কতজন কর্মী এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, তবে প্রায় ১৮ জন কর্মী অংশ নিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের বামপন্থী রাজনৈতিক দল ‘লা ফ্রঁস ইনসুমিস’-এর দুই সদস্য। এর আগে গত ৬ জুন ইতালির সিসিলি বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ব্রিটিশ পতাকাবাহী ‘ম্যাডলিন’। কিন্তু ৯ জুন সেটিকে জব্দ করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী এবং নৌযানের ১২ জন কর্মীকে আটক করে।
ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানায়, ইসরায়েলের নৌ অবরোধের ফলে গাজার জনগণ চরম মানবিক সংকটে পড়েছে। খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে প্রায় ২৩ লাখ গাজাবাসী। এই পরিস্থিতিতে তাদের লক্ষ্য হলো অবরোধ ভেঙে সরাসরি সহায়তা পৌঁছানো এবং দুনিয়ার সামনে গাজার দুর্দশা তুলে ধরা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোও ফ্লোটিলার এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে বলছে, ইসরায়েলের একতরফা অবরোধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। তারা আরও বলেছে, গাজার জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছে, যেখানে শিশুরাও ন্যূনতম চিকিৎসা ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি