
দীর্ঘ ৩৫ বছর নিঃশব্দে পড়ে থাকা, পরিত্যক্ত এক দ্বীপ হচ্ছে হাশিমা দ্বীপ। জাপান উপকূলে অবস্থান এই দ্বীপের, যেটি গুনকানজিমা বা “ব্যাটলশিপ আইল্যান্ড” নামেও পরিচিত। একসময় ছিল কয়লা খনির গর্জনে মুখরিত । তবে সেই গর্জন থেমে গিয়েছিল ১৯৭৪ সালে, যখন মিৎসুবিশি কোম্পানি খনি বন্ধ করে দেয় এবং দ্বীপটি মানবশূন্য হয়ে ওঠে।
তখন থেকেই হাশিমা হয়ে ওঠে এক প্রকার নিষিদ্ধ ভূখণ্ড! পর্যটকদের প্রবেশ ছিল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। পরিত্যক্ত ভবন, মরিচা ধরা লোহার কাঠামো আর ধ্বংসস্তূপে ঘেরা দ্বীপটি যেন ধীরে ধীরে প্রকৃতির কবলে পড়ে নিস্তব্ধ হয়ে পরে ছিলো । দ্বীপের প্রতিটি ধ্বংসস্তূপ যেন গল্প বলে, শ্রমিকদের রোজকার সংগ্রাম, কয়লার গন্ধে ভরা দিনগুলো, কিংবা শিশুরা যে স্কুলে পড়ত, তার ভাঙা জানালার ফ্রেম। একসময় যে দ্বীপে ৫,০০০-এর বেশি মানুষ বসবাস করত, আজ তা নিঃসঙ্গ এক নিদর্শন।
বর্তমানে দ্বীপটির বড় অংশ এখনো বিপজ্জনক, প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ও তথ্যচিত্র নির্মাণ চলছে নিয়মিত। তবে নতুন এক ইতিহাস রচনা হয় ২০০৯ সালে। সরকারের উদ্যোগে দ্বীপের নিরাপদ অংশ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়, তাও কেবল গাইডেড ট্যুর এবং কঠোর নিরাপত্তা বিধির অধীনে। সেই প্রথম ট্যুর ছিল এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা কেউ কেউ বলছেন, এটা যেন বাস্তবের ভেতরে দাঁড়িয়ে থাকা ভূতের সিনেমা।