Image description

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যদি তেহরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সহযোগিতা শুরু করতে হয় তাহলে জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থাকে ‘দ্বিচারিতা পরিহার’ করতে হবে। বৃহস্পতিবার তিনি এমন মন্তব্য করেছেন বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপরই ইরান থেকে আইএইএ তাদের কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেয়। 

 

জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। কারণ সংস্থাটি জানিয়েছিল, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে রয়েছে। যদিও ইরান জোড়ালভাবে দাবি করে আসছে- তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। 

ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্তনিও কস্তাকে টেলিফোনে মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আইএইএ’র সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক নির্ভর করছে পরমাণু নথির বিষয়ে তাদের ‘দ্বিচারিত পরিহারের’ ওপর। তিনি আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে আবারও কোনো আগ্রাসন হলে তার জবাব আরও অধিক ভয়াবহভাবে দেয়া হবে। 

ইরানের দাবি, ইসরাইল ও মার্কিন হামলার বিষয়ে নিন্দা জানাতে আইএইএ ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের একটি রেজুলেশনই তেহরানে হামলার পথ প্রশস্ত করে দেয়।  

পেজেশকিয়ান বলেন, পরিদর্শক প্রধান হিসেবে তাদের পর্যবেক্ষণ যদি ভুল তথ্য দেয় তাহলে আইএইএ’র কার্যক্ষমতা এবং সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। 

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পর দেশ দুটি ১২ দিনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে তেল আবিবকে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়নি তেহরান। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করতে পারছে না। সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেন, এটি তাদের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে।