Image description

গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য টানা দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারও সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ নেতানিয়াহু পৌঁছান। তবে এই বৈঠকটি সংবাদমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। এর আগে মঙ্গলবার নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

সোমবার হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজে তিনি কয়েক ঘণ্টা ট্রাম্পের সঙ্গে সময় কাটান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তাদের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল গাজায় জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা এবং ইরানের বিরুদ্ধে ‘বড় জয়ের’ পরিণতি ও সম্ভাবনা। 

নেতানিয়াহু বলেন, তিনি এখনও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, ইসরায়েলের যুদ্ধ লক্ষ্য—বিশেষ করে হামাসের ‘সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস’—অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এই আলোচনার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নেতানিয়াহুর ওপর যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করার জন্য চাপ বাড়ান।

যদিও কাতারভিত্তিক মধ্যস্থতাকারীরা দোহায় চলমান আলোচনার ক্ষেত্রে আরো সময়ের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন।

গাজা যুদ্ধ ও সম্ভাব্য ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেতানিয়াহুর তৃতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। দুই নেতার এই বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়।

পরবর্তীতে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নেতা মাইক জনসনের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরে নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজায় আমাদের সামরিক অভিযান এখনো শেষ হয়নি, তবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখনও গাজায় কাজ শেষ করতে হবে—সকল জিম্মিদের মুক্ত করা, হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।’ এর আগে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানান, ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কেবল একটি ইস্যু নিয়ে মতানৈক্য বাকি আছে।

উইটকফ বলেন, ‘আমাদের সামনে চারটি প্রধান ইস্যু ছিল, এখন কেবল একটি নিয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে।

’ তিনি আরো জানান, খসড়া চুক্তির আওতায় ১০ জন জীবিত জিম্মির মুক্তি এবং ৯ জন মৃত জিম্মির দেহ ফেরত দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গত সোমবার নেতানিয়াহু-ট্রাম্প বৈঠকের আগে কাতারের একটি প্রতিনিধি দল হোয়াইট হাউসে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন বলে জানিয়েছে অ্যাক্সিওস।
সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা ‘খুব ভালোভাবেই চলছে।’ তবে কাতার মঙ্গলবার জানায়, আলোচনা সম্পন্ন করতে আরো সময় লাগবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে কোনো সময়সীমা দিতে পারছি না, তবে এটুকু বলতে পারি—আমাদের এখনো সময়ের প্রয়োজন।’ এর মধ্যে এক ফিলিস্তিনি সূত্র বিবিসিকে জানায়, আলোচনায় এখনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।

সূত্র : বিবিসি