Image description
 

চীনের নতুন ফাইটার জেট জে-১৫টি এখন আলোচনার কেন্দ্রে। রণতরিতে উডয়ন এবং অবতরণে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানটি বর্তমানে মোতায়ন রয়েছে চীনের বিমানবাহী রণতরী Shandong-এ। আগামী পাঁচ দিন ধরে হংকং উপকূলে টহল দেবে এই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার এবং তার বহরে থাকা অত্যাধুনিক জে-১৫টি ফাইটার জেট।

চীনের সামরিক সক্ষমতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই যুদ্ধবিমান। সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম জে-১৫টি ইতোমধ্যেই দেশটির সমর ভাণ্ডারের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তার এবং তাইওয়ান ও হংকংকে ঘিরে দীর্ঘদিনের ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে এই যুদ্ধবিমান নতুন করে গুরুত্ব পেয়েছে।

চীনের নৌবহর বর্তমানে হংকং উপকূলজুড়ে টহলে নিয়োজিত, যেখানে থাকছে বিভিন্ন ধরনের রণতরী ও যুদ্ধজাহাজ। তবে এবারের টহলের বিশেষ দিক হলো—প্রথমবারের মতো এই বহরে যুক্ত হয়েছে বিমানবাহী যুদ্ধবিমান জে-১৫টি।

 

জে সিরিজের মধ্যে রণতরির উপযোগী সংস্করণ হচ্ছে জে-১৫টি, যা ‘ফ্লাইং শার্ক’ নামেও পরিচিত। দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই যুদ্ধবিমানটি নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত এবং স্বল্প দৈর্ঘ্যের রণতরির রানওয়ে থেকে সম্পূর্ণ পেলোডসহ উডয়ন ও অবতরণে সক্ষম। এতে যুক্ত হয়েছে উন্নত রাডার এবং সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।

 

চীনের এই জে সিরিজের ফাইটার জেট ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানও ব্যবহারের দাবি করেছে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় জে-১০ ব্যবহার করে সাফল্যের দাবি করে ইসলামাবাদ। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আন্তর্জাতিক বাজারেও চাহিদা বাড়ছে চীনা জেটের। এখন পর্যন্ত সাতটি জে-১৫টি যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।