Image description

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে ভারত সফরে এসেছিলেন জ্যাক সালিভান। সফরে এসে ভারতের পরমাণু সংস্থাগুলো সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বার্তা দিয়েছেন তিনি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে সালিভান বলেন, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বেসরকারি পরমাণু সহযোগিতার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী জট ছিল তা তুলে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০০৮ সালে দুই দেশের মধ্যে পরমাণু সহযোগিতার চুক্তি হলেও এতদিন নানা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।

তিনি ঘোষণা করেন, এবার থেকে অতীতকে পেছনে ফেলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে। সালিভান বলেন, ‘আগামী দিনে উন্নত প্রযুক্তিগত সহায়তা ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতেও এই একই বার্তা দেয়া হয়েছে।আগামী ২০ জানুয়ারি ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেয়ার আগে সালিভানের এটি অন্তিম সফর। এই সফরে তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এইসব বৈঠকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষার মতো বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বলে সংবাদ সূত্রে বলা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সালিভানের আলোচনায় ‘ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজি’ (আইসিইটি)-র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

বৈঠকের পরে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে মোদি লেখেন, সালিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত হয়েছি। ভারত-আমেরিকা কৌশলগত অংশীদারিত্ব প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, মহাকাশ, জৈবপ্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। জনগণের স্বার্থে এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্য আমাদের দুই গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্কের এই গতিকে তরান্বিত করার জন্য আমি উন্মুখ।এদিকে, সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের পরে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর লেখেন, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।