
ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তিন ইসরায়েলি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা। লাহাভ ৪৩৩ ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট এবং শিন বেতের (ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা) যৌথ অভিযানে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই গ্রেপ্তারগুলো সম্পন্ন হয়। সোমবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায়, ১৪ জুন রাতে তিবেরিয়াস শহর থেকে ইয়োনি সেগাল (১৮) ও ওমর মিজরাহি (২০) নামের দুই যুবককে আটক করা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, তারা কয়েক মাস ধরে ইরানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন এবং ইসরায়েলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি ও তথ্য পাঠাচ্ছিলেন। এসব তথ্যের মধ্যে ছিল বিভিন্ন শপিংমলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দোকানের সংখ্যা, স্থাপনার বিন্যাসসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত।
তারা হাইফার গ্র্যান্ড মল, তিবেরিয়াসের বিগ ফ্যাশন, তেলআবিবের ডিজেঙ্গফ সেন্টার ও ইচিলোভ হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর তথ্য সরবরাহ করেছে। সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে অবস্থানকালে তারা নিজেদের লাইভ লোকেশনও ইরানিদের কাছে পাঠাতো এবং পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় থাকত।
তদন্তকারীরা আরও জানায়, তাদের একটি গুপ্ত হত্যা মিশনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে তাদের একটি ভিনদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে টার্গেটের পরিচয় জানানো হতো।
অন্যদিকে, একই দিন জর্দান ভ্যালি এলাকা থেকে ৩৩ বছর বয়সী মার্ক মর্গানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনিও ইরানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ রেখে তাদের নির্দেশে কাজ করছিলেন।
গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র প্রস্তুতের অংশ হিসেবে পুলিশ একটি প্রসিকিউশন ডিক্লারেশন দাখিল করেছে।
পেতাহ টিকভা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।