লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির কাছ থেকে ৫০ মিলিয়ন ইউরো ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির বিচার শুরু হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে আজ সোমবার নিকোলাস সারকোজির বিচার শুরু হচ্ছে। আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিচারকাজ চলবে।
নিজ নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ২০০৭ সালে গাদ্দাফির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সারকোজির বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই প্রথম মামলা যেখানে একজন প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে বিদেশি সরকারের সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জনসাধারণের তহবিল আত্মসাৎ এবং অবৈধ প্রচারে অর্থায়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে সারকোজিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে।
৬৯ বছর বয়সী সারকোজি ইতোমধ্যে দুটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। গত মাসে, তিনি একজন বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। পরে গোড়ালি ট্যাগ দিয়ে বাড়িতে এক বছর থাকার সাজা পান।
এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে প্রচারাভিযানের আর্থিক অপরাধের জন্য এক বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন।
ফরাসি-লেবানিজ অস্ত্র ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিদ্দীন প্রসিকিউটরদের বলেছেন, তিনি নির্বাচনী প্রতিযোগিতার জন্য সারকোজিকে গাদ্দাফির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
৭৪ বছর বয়সী তাকিদ্দীন হলেন হাই-প্রোফাইল ব্রিটিশ-লেবানিজ ব্যারিস্টার আমাল ক্লুনির চাচা। আমাল ক্লুনি হলেন হলিউড অভিনেতা জর্জ ক্লুনির স্ত্রী।
২০০৭ সালে সারকোজি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি প্যারিসে গাদ্দাফিকে আড়ম্বরপূর্ণভাবে গ্রহণ করেছিলেন।